আদালতে জোর ধাক্কা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের। দীর্ঘদিন ধরে বাংলার বকেয়া আটকে রেখে যে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করে চলেছে মোদি- শাহদের সরকার, এবার সেই ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই হলফনামা জমা দিতে হবে মোদি সরকারকে (Modi Govt)। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে দ্রুত ১০০ দিনের কাজ শুরু করানোর নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল (Sujoy Paul) এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে’র (Smita Das Dey) ডিভিশন বেঞ্চ।

ভোটের ময়দানে পেরে উঠতে না পেরে প্রতিমুহূর্তে বাংলার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে চলেছে কেন্দ্র সরকার (Govt of India)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে। আবাস যোজনার টাকা আনতে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। যার জেরে যতদিন যাচ্ছে ততই তৃণমূলের উপর আস্থা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে যা বিজেপির কাছে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ। সেই কারণেই কখনও বাংলার প্রাপ্য আটকে রেখে, কখনও অপপ্রচার করে বাংলাকে অপদস্ত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সরব রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। রাজ্যের পাওনা টাকা আটকে থাকায় প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। তাই কেন্দ্রের টাকা না-পেয়ে রাজ্যের তহবিল থেকে টাকা দিয়ে এই ধরনের কাজের প্রকল্প শুরু করে তৃণমূল। পাশাপাশি কেন্দ্রের বকেয়া নিয়ে হাই কোর্টে মামলা চলছে। এর আগেই আদালত গত আগস্ট মাস থেকে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র তো টাকা দেয়নি উপরন্ত, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের মামলা খারিজ করে দিয়েছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে দ্রুত ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ। কেন টাকা আটকে রাখা হয়েছে সেই নিয়ে এক মাসের মধ্যে কেন্দ্রের রিপোর্ট চায় হাইকোর্ট।

–

–

–

–

–

–

–

–

