Sunday, November 9, 2025

দোষ ঢাকতে কোপ! কর্তব্যে গাফিলতি, আট BLO-কে শোকজ

Date:

Share post:

৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যে এসআইআর-এর ম্যাপিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইনিউমারেশন ফর্ম পৌঁছে দিচ্ছেন বিএলও-রা (BLO)। টানা চারদিন সেই কাজে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই দাবি নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)। জানানো হয়েছে প্রতিটি এলাকায় নির্দিষ্ট সংখ্যক বিএলও বিনা বাধায় এলাকায় ঘুরে কাজ করছেন। রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকেও বারবার সরকারি কর্মী, বিশেষত শিক্ষকদের বিএলও হিসাবে কাজে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাজ্যের আটজন বিএলও-কে শো-কজ (show cause) নোটিশ ধরালো নির্বাচনে কমিশন দফতর। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও তাঁরা তা করছেন না, এমনটাই অভিযোগ।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএলও-রা কাজ করছেন না, এমন অভিযোগ তোলা হলেও আদতে তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, বিএলও-রা নিশ্চিতভাবে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। কমিশনই ফর্ম দিতে পারছে না। কোথাও গ্রামের মধ্যে তিনটি মাত্র ঘর অনেক দূরে মাঠের ওপারে। সেক্ষেত্রে এক জায়গা থেকে ফর্ম বিলি হতে পারে। বিএলও-রা যথেষ্ট ঘুরছেন। তাঁরাও মানুষ। দূরত্বগুলো ভাবুন। এগুলোও বিএলওদের কভার করতে হচ্ছে। বাসিন্দারাই যদি সামনে থেকে নেন সেরকমও রয়েছে। আসল কথা হল যে ব্যক্তির ফর্ম তিনি নিজের ফর্ম (enumeration form) পাচ্ছেন কি না।

ইতিমধ্যেই কমিশনের নির্দেশ নিয়ে সমস্যায় বিএলও-রা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছিলেন পরিবারের রক্তের সম্পর্ক যাঁদের সঙ্গে রয়েছে তাঁদের ভোটার তালিকায় (voter list) নাম থাকলে তা ইনিউমারেশন ফর্মের জন্য উল্লেখ করা যাবে। সেই ব্যক্তি কাকা বা দাদা-দিদি হতে পারেন। কিন্তু মাঠে নেমে কাজ করতে গিয়ে সফটওয়্য়ারে (software) সেই শর্ত পাচ্ছেন না বিএলও-রা। এই পরিস্থিতিতে মাঠে নেমে সমস্যায় তাঁদেরই পড়তে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কে সঠিক? জ্ঞানেশ কুমার, না কমিশনের সফটওয়্যার? পর্দাফাঁস করে প্রশ্ন তৃণমূলের

তৃণমূলের তরফ থেকে শুক্রবারই এই অভিযোগ কমিশনে দায়ের করা হয়েছে। তারপরই হঠাৎ বিএলও-দের বিরুদ্ধে তৎপর নির্বাচন কমিশন। একদিকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দেওয়া ও সংগ্রহ করার নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিএলও-দের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পেলে জেলা শাসকরা যেন শো-কজ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন, তেমন নির্দেশও দেওয়া হয়। আরও একধাপ এগিয়ে এবার প্রশ্নের মুখে পড়া কমিশন রাজ্যের আটজন বিএলও-কে শোকজের পথে হাঁটল। কমিশনের দাবি, নির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়ায় তাঁদের শো-কজ করানো হয়েছে।

spot_img

Related articles

বেঁচে থাকলে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত! পুরুলিয়ার সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ দেবাংশুর

ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বেঁচে নেই। নইলে বিজেপি রবীন্দ্রনাথকে রোহিঙ্গা ও নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত। শনিবার পুরুলিয়া শহরের...

টাকা পেয়েও কাজে দেরি! ‘বাংলার বাড়ি’ নিয়ে কড়া প্রশাসন, রিপোর্ট চাইল নবান্ন

প্রথম দফায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাওয়ার পরও বহু উপভোক্তা এখনও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের কাজ শুরু করেননি।...

ঝুলনের চোখে বাংলার সেরা ক্রিকেটার রিচা, মহিলা ক্রিকেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৌরভ

বাংলার বিশ্বকাপ জয়ী একমাত্র ক্রিকেট তারকা রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন...

সৌরভ ছাড়া অন্য কারও ICC সভাপতি থাকার কথা নয়: বললেন ‘ঠোঁটকাটা’ মমতা

ছিল বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। শনিবার ইডেনে সেই অনুষ্ঠানে বোমা ফাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের...