নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, না নেই। রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই আতঙ্ক ক্রমশ স্পষ্ট। বিহারের উদাহরণ দেখে রাজ্যের বিবাহিত মহিলারা যেন আরও বেশি আতঙ্কে। ইতিমধ্যেই ১৭ জন সহনাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এসআইআর (SIR) নামক কৃত্রিম আতঙ্কে। ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই পরিস্থিতিতে মর্মান্তিক ঘটনা হুগলির ধনেখালিতে (Dhaniakhali)। ইনিউমারেশন ফর্ম (enumeration form) ফিলাপ সংক্রান্ত আতঙ্কে সন্তানকে নিয়ে বিষ খেলেন (consumed poison) সোমসপুরের এক মহিলা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনেই এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) চিকিৎসাধীন।

ধনেখালির বাসিন্দা আশা সোরেনের সঙ্গে পূর্ব বানপুরের বাসিন্দা সন্তু সোরেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের ছয় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে অশান্তিতে পাঁচ বছর আগে শ্বশুর বাড়ি ছেড়েছেন আশা। কার্যত শ্বশুরবাড়ির দিকে ফিরেও তাকান না তিনি। এসআইআর শুরু হওয়ার পরে তিনি জানতে পারেন তাঁকে ইনিউমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করতে যেতে হবে শ্বশুরবাড়িতে। তাঁর বাপের বাড়িতে যেখানে তিনি সন্তানকে নিয়ে রয়েছেন সেখানে তাঁকে ফর্ম দেওয়া হবে না। এরপর থেকেই শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার হতাশায় ভুগতে থাকেন তিনি।

আরও পড়ুন: দোষ ঢাকতে কোপ! কর্তব্যে গাফিলতি, আট BLO-কে শোকজ

হতাশায় আশা সোরেন নিজেও বিষ খান। নিজের ছয় বছরের সন্তানকেও বিষ খাওয়ান। দুজনকেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয়। ইতিমধ্যেই তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও নেতৃত্বদের নিয়ে আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে এসআইআর পর্বে বিভিন্ন কারণ মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। আশা সোরেনের পরিবারের সঙ্গেও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি যোগাযোগ রাখছে ও পাশে থাকছে।

–

–

–

–

–

–


