তালিকায় নাম আছে, না নেই। গত ৪ নভেম্বর থেকে গোটা বাংলার মানুষ সেই আতঙ্কেই ভুগছেন। কী হবে ভবিষ্যৎ? প্রশ্নের উত্তর নেই বহু মানুষের কাছে। তার জেরে কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। কেউ বা অসুস্থ ছিলেন। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এসআইআর-এর (SIR) কারণে প্রবল মানসিক চাপে মৃত্যু হচ্ছে অনেকের। এবার সেই তালিকায় নদিয়ার (Nadia) তাহেরপুরের (Taherpur) বাসিন্দা এক বৃদ্ধ। এসআইআর আতঙ্কেই (SIR fear) বৃদ্ধের মৃত্যু বলে দাবি পরিবারের।

নদিয়ার তাহেরপুরের পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের কৃষ্ণচকপুর মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা শ্যামল সাহা পেশায় ছিলেন ফেরিওয়ালা (vendor)। পরিবারের তাঁর স্ত্রী ছাড়াও দুই ছেলে ও দুই বৌমা রয়েছে। কিন্তু ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখেন তাঁর নাম সেখানে নেই। তারপর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি, এমন দাবি শুধু তাঁর পরিবারের নয়, প্রতিবেশীরাও এমনটাই দাবি করছেন।

আগে থেকে শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন শ্যামল সাহা। আর এই এসআইআর আতঙ্ক (SIR fear) তাতে তাঁকে আরও অসুস্থ করে তুলেছিল। ক্রমশ খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। নিজের পাশাপাশি ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তায় ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: এসআইআর আতঙ্কে মৃতদের পরিবারের পাশে তৃণমূল: রাজ্যজুড়ে শোকাহত পরিবারগুলির ঘরে দলের জনপ্রতিনিধিরা

বাংলাদেশে জন্ম হলেও প্রায় ৩০ বছর আগে ভারতে চলে আসেন তিনি। তাঁর ভোটার কার্ড, আধার কার্ড তো ছিলই। সেই সঙ্গে ২০০২ সালে তাঁর জমির দলিলও ছিল। তাও নাম নেই ভোটার তালিকায়। ফলে দুশ্চিন্তা তাঁর পিছু ছাড়ছিল না। সেই আতঙ্কেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের।

–

–

–

–

–


