দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় বিস্ফোরণের (Delhi blast near Red fort area) ঘটনায় দু’টি তাজা কার্তুজ এবং দু’ধরনের বিস্ফোরকের নমুনা উদ্ধার করা গেছে। ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে ‘মিলিটারি-গ্রেড’ রাসায়নিকের সাহায্যেই গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। নমুনায় অ্যামেনিয়াম নাইট্রেট (Ammonium Nitrate) থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও দ্বিতীয় বিস্ফোরকের প্রকৃতি কী সেটা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। দুটি নমুনাকেই ইতিমধ্যে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সম্ভবত পেন্টেরিথ্রিটল টেট্রানাইট্রেট (Pentaerythritol Etranitrate), সেমটেক্স বা আরডিএক্স-এর মতো শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল ওই গাড়িতে।বিস্ফোরণের পরেই কমলা রঙের আগুনের শিখা দেখা গিয়েছিল বলে অনেকের দাবি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সাধারণত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে বিস্ফোরণ ঘটলে এমন রং দেখা যায়।প্রাথমিক তদন্তের পর আরও জানা গিয়েছে সম্ভবত আইইডিতে (improvised explosive device) কিছু গলদ ছিল। আর সে কারণেই মিলিটারি-গ্রেডের সমমানের বিস্ফোরক থাকা সত্ত্বেও IED-র প্রভাব বেশি দূর ছড়ায়নি। পাশাপাশি ঘাতক গাড়ির গতিবিধির রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ নভেম্বর হরিয়ানার ধৌজে আল-ফতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পার্ক করে রাখা ছিল এই ঘাতক গাড়িটি। এরপরে তা পুরনো দিল্লিতে আনা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে বিস্ফোরণের দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ দিল্লির কনট প্লেস, ময়ূর বিহার এবং দিল্লির বিভিন্ন শহরে অবাধে ঘুরে বেরিয়েছে গাড়িটি। ২৯ নভেম্বর হুন্ডাই আই টোয়েন্টিটি কেনার পর থেকেই একাধিক বার হাত বদল হয়েছে ।পুলিশের চোখ এড়াতেই ইচ্ছে করে এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

–

–

–

–

–

–

–

–


