২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভা (Bihar Assembly Election Result) কার দখলে থাকবে তা জানতে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। তেজস্বীর (Tejashwi Yadav) নয়া ইনিংস নাকি নীতীশের (Nitish Kumar) কামব্যাক, নাকি সব হিসেব উল্টে দিয়ে দিনের শেষে যুযুধান দুই পক্ষের বাজে নিজের কপালে জয়ের তিলক পড়তে পারবেন প্রশান্ত কিশোর তার উত্তর মিলবে শুক্রবারই। ম্যাজিক ফিগার ১২২, বিহারের কুরসি দখলের লড়াইয়ে বিজেপি (BJP) ও নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনায় স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন (SIR) আদৌ কোনও ভূমিকা নেয় কিনা সেদিকে নজর রয়েছে।

শীর্ষ আদালত থেকে রাজনৈতিক মহল, মগধভূমে নির্বাচনের আগে এসআইআর ইস্যু নিয়ে সরগরম ছিল জাতীয় রাজনীতি। শাসক বিরোধী তোপ, পাল্টা তোপের মাঝেই ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এসআইআরের ছাপ ভোটের ফলে পড়বে কি? এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় ৬৫.০৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় দফায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭.১৪ শতাংশে। সিংহভাগ সমীক্ষায় এনডিএ-র পাঁচটি দলের জয়ের দিকে ইঙ্গিত করা হলেও, বাস্তবে দেখা গেছে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল অনেক ক্ষেত্রেই মেলেনা। পাশাপাশি আবার মহিলা ভোটারদের ভোটদানের হার দেখে উৎসাহিত হচ্ছে বিরোধী জোট।পুরুষদের ভোটদানের হার ৬২.৯৮ শতাংশ, সেখানে মহিলা ভোটারদের ভোটের হার ৭১.৭৮ শতাংশ। এই অংকের হিসেব মাথায় নিয়েই আশাবাদী বিরোধীরা। তবে যে দলে জিতুক না কেন বিজয় মিছিলে আগেই রাশ টেনেছে কমিশন। ঘোষণা করা হয়েছে ১৪ নভেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হলেও নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু থাকবে ১৬ তারিখ অর্থাৎ রবিবার পর্যন্ত। নির্বাচন কেন্দ্রগুলির আশেপাশে লাগু থাকবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা। করা যাবে না কোনও বিজয় মিছিল, স্পষ্ট জানায় পাটনা জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বা সংগঠনের মিছিল ধর্না বা অন্যান্য কর্মসূচিও আয়োজন করা যাবে না।

–

–

–

–

–

–

–

–


