অস্ট্রেলিয়া সফরের পর থেকেই জসপ্রীত বুমরাহের (Jaspreet Bumrah )ওয়ার্কলোড নিয়ে অনেক কথা হতে শুরু করে।ইংল্যান্ড সফরে সব ম্যাচ খেলতে পারেননি। কিন্তু শরীর সঙ্গ দিলে দেশ কিনবা বিদেশ বুমরাহ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন সেটা বুঝিয়ে দিলেন ইডেনে। কোন মন্ত্রে আসে এমন সাফল্য? সাংবাদিকঠাসা ক্লাব হাউসের মিডিয়া সেন্টারে বসে সেই রহস্যের পর্দা ফাঁস করলেন বুম বুম বুমরাহ।

বুমরাহ(Jaspreet Bumrah ) প্রথম দিনে ১৪ ওভার বল করে ২৭ রান খরচ করে নিলেন ৫ উইকেট। ভারতের মাটিতে টেস্টে তৃতীয় পাঁচ উইকেট। মোট ১৬ বার ৫ উইকেট নিলেন টেস্টে। ভারতীয়দের মধ্যে আছেন দ্বিতীয় স্থানে।শীর্ষে কপিল(২৩বার)।

দিনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বুমরাহ বলেন, “ইডেনের উইকেই থেকে সাহায্য পাই। সব সময় ভালো লাগে উইকেট পেলে।কিন্তু এই টেস্টে এখনও কাজ শেষ হয়নি দলের প্রয়োজন অনুসারে বল করতে পারলে। আমি সব সময় খেলতে চাই আমার শরীর পারমিট করলে। আমি সব ফরম্যাটে খেলতে চাই সেরা টা দিতে চাই।”

কীভাবে এমন সাফল্য পান,বুমরাহের ছোট্ট উত্তর ধৈর্য। তারপর থেমে বলেন, “টেস্টে ক্রিকেটে প্রথম শিখতে হয় ধৈর্য, এখানে আউট ফিল্ড ফাস্ট। টেস্টে সব জায়গায় কিন্তু ধৈর্য বজায় রাখতে হয়। খুব কম হয় যেখানে মাত্র ৪,৫ ওভারে উইকেট পাই। বাকি সময় আমাদের উইকেট পেতে সময় লাগে।”

এর পাশাপাশি বলেন, “প্রথম ওভারে বোলিং বিভিন্ন রকম হচ্ছিল কারন বল শক্ত ছিল এরপর বল নরম হওয়ার পর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করি।বোলিং আমাদের কম্বিনেশনের উপর। অনেক সময় আমার ভালো হয়। তাই অতিরিক্ত তিন চার ওভার করে দি।”

পিচে অসমান বাউন্স নিয়ে বুমরাহ বলেন, “এটাই টেস্ট ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ আফ্রিকা তে 5 সেশনে ম্যাচ শেষ হয়। ইংল্যান্ডে ভিন্ন পরিবেশ এ খেলা হয়। আমাদের এটা মানিয়ে নিতে হয়। উইকেট অনুসারে রিভাস সুইং করি।”

এদিকে, প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫৯ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান তুলল ভারত। ১২২ রানে পিছিয়ে গিলরা। প্রথম দিনের শেষে কেএল রাহুল ১৩ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর ৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। সপ্তম ওভারে ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালকে (১২) ফিরিয়ে দেন জেনসন। দ্বিতীয় দিনের সকালটা একটু সামলে দিতে পারলে বড় রান তোলা ভারতের পক্ষে খুব একটা কঠিন হবে না। সেক্ষেত্রে বড় রান তুলে গিলরা ইনিংসে জয়ের লক্ষ্যেও ঝাঁপালে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

তবে সাফল্যের দিনে বিতর্কেও জরালেন। তাঁর বলে বাভুমার এলবিডাব্লু-র আবেদন খারিজ করেন আম্পায়ার। ভারতীয় তারকা পেসার তাঁর সতীর্থদের সঙ্গে ডিআরএস নেবেন কিনা এই বিষয়ে আলোচনা করছিলেন৷ তখনই উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থের সঙ্গে কথা বলার সময় বাভুমাকে ‘বওনা’ (বামন) বলে সম্বোধন করেন। যা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে তীব্র বিতর্ক।

–

–
–
–


