বিজেপির তোষণের রাজনীতির সমালোচনা করলেই যে তিনি দলবিরোধী হবেন, দল হিসাবে এটাই বিজেপির নীতি। যা বারাবার প্রকাশ্যে এসেছে। বিহার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্য়েই সেই নীতির কারণে ভাঙন বিজেপিতেই। দল থেকে সাসপেন্ড (suspend) করা হল তিনজনকে। যাঁদের মধ্যে একজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (former central minister)। দ্বিতীয় জন বিহারের মন্ত্রী (MIC)। ও তৃতীয়জন রীতিমত কর্পোরেশনের মেয়র (Mayor)। বিজেপি যে স্বৈরাচারী, তা বিরোধীরা বাববর প্রমাণ করে এসেছে। বিহার নির্বাচনের পরে যেখানে বিজেপির নেতা কর্মীদের আনন্দ উৎসবে মেতে থাকার কথা, সেখানে দলের ভিতরেই কোন্দলে সাসপেনশনের গেরো।

বিহারে বিজেপির স্বজনপোষণের জন্য জায়গা করে নিচ্ছে আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিং (R K Singh) তাই নিয়েই অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন বেশি দাম দিয়ে বিহারে (Bihar) আদানিকে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া আদতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি (scam)। এই প্রশ্নে তোলায় আর কে সিংকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড (suspend) করে বিজেপি। আবার প্রশ্ন করা হয়, তিনি যেন এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেন, কেন তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে না।

আরও পড়ুন: বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

পাশাপাশি বিজেপির ভাঙন স্পষ্ট হয়েছে বিহারের বিজেপির মন্ত্রী অশোক কুমার আগরওয়াল ও তাঁর স্ত্রীর তথা কাটিহারের মেয়র ঊষা আগরওয়ালের ক্ষেত্রে। তাঁদেরই ছেলে সৌরভ আগরওয়াল যোগ দিয়েছেন বিকাশশীল ইনসান পার্টিতে (VIP)। চলতি বিধানসভা নির্বাচনে কাটিহার (Katihar) কেন্দ্র থেকে তিনি বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধেই লড়াই করেন। সেখানেই আবার প্রচারে অংশ নেন মন্ত্রী অশোক আগরওয়াল ও মেয়র ঊষা আগরওয়াল। তাঁদের কাজকর্ম চূড়ান্ত দলবিরোধী (anti-party) বলেই দাবি করে তাঁদেরও সাসপেন্ড করা হয়।

–

–

–

–

–

–

