প্রায় ২৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে ক্লিনচিট বাংলার চিকিৎসককে। দিল্লি বিস্ফোরণের পিছনে যে হোয়াইট কলার মডিউলের অনুসন্ধান শুরু করেছে দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা, সেই সূত্রেই জড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ডালখোলা থানার এক চিকিৎসকের নাম। তবে শুক্রবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে গেলেও শনিবার দুপুরের মধ্যেই তাঁকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। যে ব্যাচে (batch) ডাক্তারি পাশ করেন উত্তর দিনাজপুরের ওই চিকিৎসক, সেই ব্যাচের সব চিকিৎসককে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র (NIA) জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে।

চিকিৎসকদের অন্তর্ভুক্ত করে জঙ্গিদের হোয়াইট কলার মডিউল (white collar module) প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে প্রত্যক্ষভাবে নাম জড়িয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের (Faridabad) কাছে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al Falah University)। একের পর এক চিকিৎসককে জঙ্গি সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চালানো হয়। হস্টেলের ঘরে বসে বিস্ফোরকের মূল উপাদান কেনা থেকে বিস্ফোরক তৈরিও করত অভিযোগের তিরে থাকা চিকিৎসকরা। এরপরই তিন রাজ্যের পুলিশ, এনআইএ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি চিকিৎসক, শিক্ষক, পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।

আরও পড়ুন : লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ কাণ্ডে উত্তর দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার মেডিক্যাল ছাত্র!

সেই সূত্রেই উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা (Dalkhola) থানার কোনাল গ্রামের চিকিৎসক জানিসার আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে যায় এনআইএ (NIA) কর্তারা শুক্রবার। জানিসার ২০২৪ সালে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পাস করেছিল। রবিবার তিনি এমডি পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন চন্ডিগড়ে। তারপর পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ডালখোলায় আসেন। তখনই তাঁকে নিয়ে যায় এনআইএ। তবে সন্দেহভাজন কিছু না পাওয়া যাওয়াতে তাকে শনিবারই ছেড়ে দেওয়া হয়।

–

–

–

–

–

–


