সাতসকালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড বড়বাজারের (Barobazar) এজরা স্ট্রিটের ইলেকট্রিক সামগ্রীর দোকানে। দমকলের (Fire Brigade) ২০টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন (Fire) নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu)। বহুতলে অগোছালো বৈদ্য়ুতিক তার নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মেয়র। দমকল মন্ত্রীর আর্জি, “ব্যবসা করুন, সবরকম সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকমতো রাখুন।” সিইএসসি, দমকল, ব্যবসায়ী সমিতি, পুরসভা, পুলিশকে নিয়ে বৈঠক হবে বলে জানান ফিরহাদ।
শনিবার সকালে বিধ্বংসী আগুন লাগে এজরা স্ট্রিটের ইলেকট্রিক (Electric) সামগ্রীর দোকানে। পর পর ভবনে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘিঞ্জি এলাকায় দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ফিরহাদ (Firhad Hakim)। বলেন, “ওই বহুতলে বহু বৈদ্য়ুতিন তার অগোছালোভাবে দেখা গিয়েছে। আমি সিইএসসি, দমকল, ব্যবসায়ী সমিতি, পুরসভা, পুলিশকে নিয়ে বৈঠক করব। যাতে বড়বাজারে যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারেন। যাতে দমকল আসতে অসুবিধা না হয়, তা দেখার দায়িত্ব সকলের।”
অবৈধ নির্মাণ হয়েছে কি না এই প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, “হতে পারে বেআইনি, আমি চ্যালেঞ্জ করছি না। এত বড় বাড়িতে কে কী করছেন, তা জানা যায় না। যখন এগুলো হয়, তখন কেউ জানাননি। একশো-দেড়শো বছরের পুরনো বাড়ি। তাই কতটা আইনি, কতটা বেআইনি নির্মাণ তা এখনই বলতে পারব না। আগে বিল্ডিং বিভাগের লোকজনেরা আসবেন, তবেই বলতে পারব।” তবে, অবৈধ নির্মাণ প্রমাণ হলে ভেঙে দেওয়া হবে- সাফ জানান ফিরহাদ।
আরও খবর: দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের কাছে সিগন্যালিংয়ের কাজ, ব্লু লাইনে মেট্রো চলছে বরাহনগর পর্যন্ত
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। তিনি বলেন, ”ব্যবসা করার অধিকার সকলের রয়েছে। তবে ব্যবসা করতে গিয়ে যদি মানুষের জীবন বিপন্ন হয়, তা গ্রহণযোগ্য নয়।” তবে, কী থেকে আগুন, তা ফরেনসিক না হওয়া পর্যন্ত বলতে পারব না- জানান দমকলমন্ত্রী।
–
–
–
–
–
–
