কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি দিল লোকপাল (Lokpal)। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে চার্জশিট দেবে CBI। সংসদে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ করার মামলায় ১২ নভেম্বর লোকপালের সম্পূর্ণ বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চার্জশিটের প্রতিলিপি পাঠাতে হবে লোকপালের দফতরে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের (Nishikanta Dube) অভিযোগের ভিত্তিতেই কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। শনিবার নিশিকান্তকেও লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছেন তিনি। শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিশানা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চাপে ফেলার জন্যই তৃণমূল সাংসদ এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়ার সাংসদ খারিজ করার দাবি তোলেন নিশিকান্ত। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন বান্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাইও। এই ঘটনায় এথিক্স কমিটির সুপারিশে গত বছর ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার লোকসভার সাংসদপদ খারিজ করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। পরে তিনি আবার কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে জিতেই সাংসদ হয়েছেন।

লোকপালের নির্দেশের পরে মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল CBI। তদন্তে নেমে ২৬ জন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলে সিবিআই। প্রমাণ হিসাবে সংগ্রহ করা হয় ৩৮টি নথি। ৬ মাসের মধ্যে লোকপালের দফতরে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। সেখানে মহুয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬১টি প্রশ্ন ঘুষ নিয়ে করার অভিযোগ করেছে সিবিআই।

রিপোর্টে ব্যাখ্যা দিয়ে মহুয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য অনুমতি চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। গত বুধবার লোকপালের সম্পূর্ণ বেঞ্চ সিবিআইকে চার্জশিটের অনুমতি দেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। নির্দেশিকায় লোকপাল জানিয়েছে, চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেই সিবিআইয়ের দ্বিতীয় আবেদনটি বিবেচনা করা হবে। তার আগে নয়।
আরও খবর: দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতেই দল বিরোধী! প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ তিনজনকে সাসপেন্ড বিজেপির

–

–

–

–

–

–


