বাংলাদেশের জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Shiekh Hasina)। সেই অভিযোগের বিচার হবে সোমবার ঢাকায়। তার জন্য প্রতিবাদীদের উপর শুট অ্যাট সাইট-এর (shoot at sight) নির্দেশ জারি হল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের (interim government) আমলে। সোমবার হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগেই একাধিক বিস্ফোরণ রাজধানী ঢাকায় (Dhaka)। প্রতিবাদ আরও তীব্র হতে পারে, আশঙ্কা করেই শুট অ্যাট সাইটের ঘোষণা মহম্মদ ইউনুসের (Mohammed Yunus) অন্তর্বর্তী সরকারের।

জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি আনা , তার মধ্যে অন্যতম, আন্দোলনকারীদের উপর হেলিকপ্টার, ড্রোন বা প্রাণঘাতী অস্ত্র (lethal weapon) প্রয়োগের নির্দেশ। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগগুলি হল, উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাইদের উপর গুলি চালানো। রাজধানী সংলগ্ন এলাকায় আন্দোলনকারীকে গুলি করার নির্দেশ এবং ছয় আন্দোলনকারীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ।

সোমবার বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (ICT) সেই অপরাধের সাজা ঘোষণা হবে। শেখ হাসিনার পাশাপাশি অন্য দুই অভিযুক্তরা হলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ এই মামলার রায় দেবে।

তবে যে অভিযোগের মামলায় সাজা ঘোষণা হবে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিরুদ্ধে, কার্যত সেই একই দোষে এবার দোষী হতে চলেছেন মহম্মদ ইউনুস (Mohammed Yunus)। রবিবার থেকেই রাজধানী ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা সহ চার জেলায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হাসিনার শাস্তির তারিখ ঘোষণার আগেই ‘উত্তপ্ত’ ঢাকা! লকডাউন ঘোষণা আওয়ামী লিগের

এর মধ্যে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঢাকা শহরে। যেখানে হাসিনার সমর্থনে আসা আন্দোলনকারীরা অশান্ত আচরণ করলেই তাঁদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে যেভাবে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার, সেভাবেই আরও একবার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি প্রয়োগের পথে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনুস পরিচালিত অন্তবর্তী সরকার।

–

–

–

–


