রাজ্যে উত্তর থেকে দক্ষিণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আমলে উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও (Heath Sector) হয়েছে আমূল পরিবর্তন। ১৪ বছর ধরে আমজনতার জন্য ভাবছেন, সেবা দিচ্ছেন, অঙ্গীকার পূরণ করছেন। আজ ভারতের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু বিশেষ উদ্যোগের খতিয়ান পেশ করল তৃণমূল (TMC)।
* ঘরে ঘরে পরিষেবা পৌঁছে দিতে চালু করা হয়েছে ২১০টি মোবাইল মেডিকেল ইউনিট
* প্রতিটি এমএমইউ-ই আসলে সম্পূর্ণভাবে সজ্জিত একটি চলমান ক্লিনিক-যেখানে থাকবেন চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব ও ইসিজি টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট এবং ডেটা অপারেটর
* এখানে ৩৫টিরও বেশি বিনামূল্যে পরীক্ষা হবে-যেমন হিমোগ্লোবিন, ম্যালেরিয়া, প্রেগনেন্সি, ইসিজি, রক্তে শর্করার মাত্রা এবং আরও অনেক কিছু
* মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে রোগীদের উচ্চতর হাসপাতালে পাঠানো হবে
* জঙ্গলমহল ও সুন্দরবনে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আল্ট্রাসাউন্ড পরিষেবা চালু করা হয়েছে
* বর্তমানে ১১০টি ইউনিট কার্যকর, বাকি ইউনিটগুলি শীঘ্রই চালু হবে
* এই প্রকল্পে মোট ৮৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে, এবং মাসিক ২.৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে এই রক্ষণাবেক্ষণে
তৃণমূল (TMC) সরকার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। তারও একাধিক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
* স্বাস্থ্য বাজেটে ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে- ২০১০-১১ সালে ৩,৫৮৪ কোটি টাকা থেকে ২০২৫-২৬ সালে দাঁড়িয়েছে ২১,৩৫৫ কোটি টাকায়
* রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও ওষুধ- প্রতি বছর ব্যয় প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা
* স্বাস্থ্য সাথী: প্রতি পরিবারের ৫ লক্ষ টাকার নগদবিহীন চিকিৎসা সুবিধা- ২.৪৫ কোটি পরিবার তথা ৮.৭২ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায়
* স্বাস্থ্য ইঙ্গিত টেলিমেডিসিন: প্রতিদিন গড়ে ৯০,০০০ জনকে পরামর্শ দেন, এখনও পর্যন্ত ৬.৯ কোটি মানুষ উপকৃত
* চোখের আলো: ২৬ লক্ষ বিনামূল্যে ছানির অপারেশন এবং ৩৪ লক্ষ চশমা বিতরণ
* শিশু সাথী: শিশুদের জন্য ৬৪,০০০টি সার্জারি সম্পন্ন, ব্যয় হয়েছে ৩০৭ কোটি টাকা
শিশুমৃত্যুর হার ২০১১ সালের থেকে ৩৪ থেকে ২০২৫ সালে কমে ১৯- প্রমাণ করে, যত্ন নিলে পরিবর্তন সম্ভব
ভারতের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত ব্যবস্থা বাংলায়
* ১৪টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ, ৪২টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং ১৩,৫০০-র বেশি ‘সুস্বাথ্য কেন্দ্র’ স্থাপন করা হয়েছে
* ৭৬টি CCU, ৩টি HDU, ১৭টি মা ও শিশু হাব, ১১৭টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান এবং ১৫৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু হয়েছে
* হাসপাতালের বেডের সংখ্যা ৪০, ০০০ বৃদ্ধি পেয়ে এখন মোট ৯৭, ০০০
* ৪৯টি ট্রমা কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে: লেভেল-১ ট্রমা ফেসিলিটি শুরু হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে
* বেলুড়ে যোগা ও ন্যাচুরাপাথি চিকিৎসা কলেজ, এবং এসএসকেএম হাসপাতালে কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক ও মানব দুঢ ব্যাঙ্ক (মধুর স্নেহ) চালু হয়েছে
* ১৪,০০০ চিকিৎসক নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। নার্সিং ইনস্টিটিউটের সংখ্যা ৫৭ থেকে বেড়ে ৪৫১, এবং আসন সংখ্যা ২,২৬৫ থেকে বেড়ে ২৮,৫৪৭
* প্রত্যেক আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ১০,০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে স্মার্টফোন কেনার জন্য- ২০০ কোটি টাকা ব্যয়
* টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি (MOU স্বাক্ষর) হয়েছে দুটি অ্যাডভান্সড ক্যান্সার হাব (কলকাতা ও উত্তরবঙ্গে) গড়টে তোলার জন; এছাড়াও মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান ও সাগর দত্তে আঞ্চলিক ক্যান্সার সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে।
–
–
–
–
–
