সংসদে ‘প্রশ্নের বিনিময়ে ঘুষ’-এর অভিযোগে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে লোকপাল (Lokpal)। তাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টের (Delhi High Court) মামলা করলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। আদালত তাঁর মামলা গ্রহণ করেছে। শুক্রবার মামলার শুনানি।

তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই-কে চার সপ্তাহে চার্জশিট জমা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে লোকপাল। তবে, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লোকপালের নিয়ম লঙ্ঘিত হওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া। যে প্রক্রিয়ায় লোকপাল সিবিআই-কে অনুমতি দিয়েছে, তাও ত্রুটিপূর্ণ বলেও অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের। তাঁর মামলা গ্রহণ করছে বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল এবং বিচারপতি হরিশ বৈদন্যাথ শঙ্করের বেঞ্চ।

মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছেন তিনি। শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিশানা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চাপে ফেলার জন্যই তৃণমূল সাংসদ এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়ার সাংসদ খারিজ করার দাবি তোলেন নিশিকান্ত। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাইও। এই ঘটনায় এথিক্স কমিটির সুপারিশে গত বছর ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার লোকসভার সাংসদপদ খারিজ করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। পরে তিনি আবার কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে জিতেই সাংসদ হয়েছেন।
আরও খবর: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগে সুখবর: ৫০ হাজার কর্মসংস্থানের আশ্বাস, বুধবার থেকে পোর্টালে আবেদন গ্রহণ

লোকপালের নির্দেশের পরে মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। তদন্তে নেমে ২৬ জন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলে সিবিআই। প্রমাণ হিসাবে সংগ্রহ করা হয় ৩৮টি নথি। ৬ মাসের মধ্যে লোকপালের দফতরে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। সেখানে মহুয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬১টি প্রশ্ন ঘুষ নিয়ে করার অভিযোগ করেছে সিবিআই। রিপোর্টে ব্যাখ্যা দিয়ে মহুয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য অনুমতি চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। গত বুধবার লোকপালের সম্পূর্ণ বেঞ্চ সিবিআইকে চার্জশিটের অনুমতি দেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। নির্দেশিকায় লোকপাল জানিয়েছে, চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেই সিবিআইয়ের দ্বিতীয় আবেদনটি বিবেচনা করা হবে। তার আগে নয়। এর বিরুদ্ধেই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ মহুয়া।

–

–

–

–

–

–


