রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মাদ্রাসায় শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কীভাবে এড়ানো হল—তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও মাদ্রাসার পরিচালন সমিতি নিজেদের ইচ্ছেমতো নিয়োগ করতে পারে—এই যুক্তি মানা যায় না।
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহার বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্যের অনুমোদন ছাড়াই কোনও নিয়োগ হলে তা আইনসঙ্গত হতে পারে না। যে সব মাদ্রাসায় শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ হয়েছে, তাদের বৈধ সরকারি অনুমোদন রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এছাড়াও নিযুক্ত কর্মীদের নিয়োগপত্র, নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং সংশ্লিষ্ট পরিচালন সমিতির বৈধতাও বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের আইনজীবীরা আদালতে দাবি করেন, মাদ্রাসা সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তারা স্বশাসিতভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে পারে। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে নারাজ শীর্ষ আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ—স্বশাসিত হলেও নিয়োগে আইন ভঙ্গের সুযোগ নেই।এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর। তখনই আদালত সামনে আসা নথিপত্র পরীক্ষা করে পরবর্তী নির্দেশ দেবে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- ফুটবল বিশ্বকাপে চমক, নয়া এন্ট্রি দেড় লক্ষ জনসংখ্যার দেশ কুরাসাও-র!
_
_
_
_
_
_
_