অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা—এই দুইয়ের মাঝেই শেষ হল শীতলকুচির বিএলও ললিত অধিকারীর জীবনযাত্রা। বেশ কয়েকদিন ধরেই এসআইআর–এর অতিরিক্ত দায়িত্বে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। শুক্রবার বাড়ি ফেরার পথে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। শীতলকুচি–মাথাভাঙা সড়কের ধরলা সেতু সংলগ্ন এলাকায় একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন তিনি। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রেফার করা হয় কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃতের বাড়ি শীতলকুচি ব্লকের বড় ধাপেরচাত্রা এলাকায়।
এই ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুক্রবার রাতে ললিত অধিকারীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারের হাতে দুই লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন তিনি। উদয়ন গুহ জানান, মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনা জানতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত আর্থিক সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন।
ললিত অধিকারী ছিলেন মহিষমুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সেই স্কুল থেকেই তিনজন শিক্ষককে বিএলও–র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার স্কুল শেষে এসআইআর–এর কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পরিবারেরই দাবি, এই অতিরিক্ত দায়িত্বের চাপে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। মৃতের স্ত্রী শ্যামলী অধিকারী বলেন, “স্বামীই ছিল পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। দুই ছেলেকে নিয়ে একেবারে অথৈ জলে পড়লাম।” ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায়। তাঁর বক্তব্য, “এত মানসিক চাপের মধ্যে রাস্তায় চলাচল করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয়েছে ওই বিএলও–কে। এই মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক।”
আরও পড়ুন- বিজেপির দ্বিচারিতা! ছাব্বিশে হাতেনাতে শাস্তি দেবে বাংলা, শাহকে কড়া জবাব তৃণমূলের
_
_
_
_
_
_
_
