বিজেপির দ্বিচারিতা ধরে ফেলেছে বাংলার মানুষ। এবার বাংলা-বিরোধী দলকে হাতেনাতে শাস্তি দিতে তৈরি তারা। ২০২৬-এই বিজেপি পাবে যোগ্য জবাব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা নিয়ে মুখ খোলায় তাঁকে মোক্ষম জবাব দিল তৃণমূল। তৃণমূলের সাফ কথা, বাংলার প্রত্যেকটা মানুষকে যে আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, তার প্রতিটা উত্তর বিজেপি কড়ায় গণ্ডায় পাবে। এসআইআরের ভয় দেখিয়ে বাংলাকে কব্জা করতে বিজেপির মরিয়া চেষ্টা বিফল হবেই।

মুখ্যমন্ত্রী এই অপরিকল্পিত এসআইআর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লেখার পর মুখ খুলেছেন অ্যাক্টিং প্রাইম মিনিস্টার। অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষ নিলে দেশের মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে না বলে তোপ দেগেছেন তিনি। পাল্টা জবাবে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূল গর্জে উঠেছে বিজেপি ও কমিশনের এই নতুন চক্রান্তের বিরুদ্ধে। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, এখনও পর্যন্ত ৩১ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের এসআইআর-চক্রান্তের কারণে। বিএলও-রাও এসআইআরের অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ হচ্ছেন, এমনকী প্রাণও হারাচ্ছেন, এরপরেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলার বিষয় নিয়ে বলেন কোন মুখে? শশী পাঁজার কথায়, এত কম সময়ে এই প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন কীভাবে সম্ভব? বাংলাজুড়ে এসআইআরের নানান নেতিবাচক প্রভাব উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে। এখন তার সমালোচনা অমিত শাহ করেন কোন মুখে।

সেই সূত্র ধরেই সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, অমিত শাহ কোন মুখে এত বড় বড় কথা বলেন, তিনি নিজেই একজন ‘ব্যর্থ’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরোধী দলগুলিকে দোষারোপ করার আগে নিজের দিকে তাকান তিনি। পহেলগাঁও, দিল্লি, পুলওয়ামা— প্রত্যেকটা জায়গায় দেশবাসীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ আপনাদের অপদার্থ সরকার। দেশের সুরক্ষা ছেড়ে সারাক্ষণ বিরোধী-শাসিত সরকার ফেলার চেষ্টা করছেন। সীমান্তে যে বিএসএফ প্রহরায় আছে, সেটাও আপনার নিয়ন্ত্রণে। কে ঢুকতে দিচ্ছে অনুপ্রবেশকারীদের? জবাব দিন অমিত শাহ, নইলে পদত্যাগ করুন, সোচ্চার হন তিনি।

দলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, এসআইআর নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র বক্তব্যতেই স্পষ্ট চোরের মায়ের বড় গলা। যে দলের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে একাধিক বিধায়ক, সাংসদ এমনকী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, সেই দল কোন মুখে বাংলা-বিরোধী কথা বলে? অমিত শাহ কি নিজের ঘরেই নজর দিতে ভুলে গিয়েছেন? তাঁর সাফ কথা, বিজেপি’র এই দ্বিচারিতা বাংলার মানুষ ধরে ফেলেছে। ২০২৬-এ ওরা এই দ্বিচারিতার শাস্তি হাতেনাতে পাবেই পাবে।

আরও পড়ুন- খসে পড়ল মুখোশ! খোদ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যই বাংলাদেশি

_

_

_

_

_
_


