Sunday, November 23, 2025

হাসপাতালে আরও তিন BLO: মুখ্যমন্ত্রীর দাবি খতিয়ে দেখতে বার্তা রাজ্যপালের

Date:

নির্বাচন কমিশনের এসআইআর-এর কাজে ইতিমধ্যে রাজ্যের মৃত্যু হয়েছে তিন মহিলা বিএলও-র। তার মধ্যে দুজন আত্মঘাতী। গোটা দেশে ৬ রাজ্যে মাত্র ১৯ দিনে ১৫ জন বিএলও-র (BLO) মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নির্বাচন কমিশনকে বিএলও-র মৃত্যুতে রীতিমতো কাঠগড়ায় তুলেছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার বার্তা নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। ইতিমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও তিন বিএলও।

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় (Katwa) শনিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক বিএলও শুকদেব দাস। কাটোয়ার ১৪৭ বিএলও হিসাবে কাজ করছিলেন তিনি। রবিবার সকালে হঠাৎই খেতে বসে বুকে যন্ত্রণা অনুভব করায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক জানান তিনি প্যানিক অ্যাটাক (panic attack) আক্রান্ত। এরপর তাঁর পরিবার দাবি করে, নির্বাচন কমিশনের বিএলও হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি ১৮-২০ ঘন্টা দৈনিক কাজ করছেন। চিকিৎসকরা জানান প্রবল মানসিক চাপে এই ধরনের প্যানিক অ্যাটাক হওয়া স্বাভাবিক। যদিও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানানো হয়েছে।

সোনারপুরে (Sonarpur) রবিবার এসআইআর-এর কাজ করতে করতে সংজ্ঞা হারান এক বিএলও। সোনারপুরের ১৯ নম্বর বিএলও তনুশ্রী হালদার নাইয়াকে দ্রুত বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে। সহকর্মীরা জানান অন্যান্য সব বিএলও-র মতো মানসিক চাপ নিয়ে বিগত কয়েকদিন কাজ করছিলেন তনুশ্রী। রবিবার ফর্ম জামার কাজ চলাকালীন তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে যান।

অন্যদিকে এসআইআর-এর (SIR) কাজের চাপে হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের (Jaynagar) এক বিএলও। কমল নস্কর নামে ওই বিএলও জয়নগরের ৩১ নম্বর হিসেবে কাজ করছিলেন। শনিবার রাতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত (heart attack) হলে তাঁকে জয়নগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই আপাতত তিনি চিকিৎসাধীন। রবিবার সকালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান জয়নগরের সাংসদ বাপি হালদার।

আরও পড়ুন : SIR রাজনৈতিক গণহত্যা! ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চে’র সাংবাদিক বৈঠক থেকে সরব নির্মলার স্বামী প্রভাকর

প্রতিদিন একনাগাড়ে এভাবে বিএলও-দের অসুস্থতা এবং মৃত্যুর ঘটনায় কমিশনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে বাকি রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কার্যত তাঁরই সুরে সুর মেলালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। একটি সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল জানান, বিএলওদের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনও হাঁটু কাঁপানো মন্তব্য করা উচিত হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা জানিয়েছেন তার বিস্তারিত তদন্ত হওয়া দরকার। বর্তমান নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাঁদের সমস্ত বিষয়গুলি গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষণ করা উচিত এবং তার সঠিক সমাধান খুঁজে বার করা উচিত।

Related articles

কসবার হোটেলে যুবক খুনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ২ মূল অভিযুক্ত

কলকাতা শহরের বুকে হোটেলে যুবক খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য। খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই মূল অভিযুক্তকে...

অসুস্থ স্মৃতির বাবা, স্থগিত বিবাহ অনুষ্ঠান

স্মৃতি মান্ধানার বাবা অসুস্থ, আপাতত স্থগিত হয়ে গেল পলাশ- স্মৃতির বিবাহ অনুষ্ঠান। বিগত কয়েক দিন ধরেই তারকা জুটির...

নিজের বাড়িতে ‘আত্মঘাতী’ টলিউড চিত্রগ্রাহক ভিকি! শোকের ছায়া বাংলা বিনো দুনিয়ায়

কসবায় নিজের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার টলিউড চিত্রগ্রাহক সৌম্যদীপ্ত গুইন (cinematographer Soumyadipta Guin) ওরফে ভিকির! প্রাথমিকভাবে মনে...

SIR সহায়তায় তৃণমূলের ক্যাম্পে আগুন: নদিয়ায় কাঠগড়ায় বিজেপি!

২০০২ সালের ভোটার তালিকা মিলিয়ে ইনিউমারেশন ফর্ম ফিলাপ। কোথাও না বাদ পড়েছে, কারও তথ্য ভুল। আবার অনেকেই পাননি...
Exit mobile version