অস্বাভাবিক কাজের চাপ! মাথার উপর সর্বক্ষণ ঝুলছে কমিশনের (Election Commission) খাঁড়া! শারীরিক অসুস্থতাতেও রেহাই মিলছে না। সব মিলিয়ে দুর্দশার শেষ নেই বিএলওদের। এই অভিযোগে পথে নামলেন বিক্ষুব্ধ BLO-রা। সোমবার কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল করে বিবাদী বাগে সিইও দফতর অভিযান করে বিএলও অধিকার মঞ্চ। মিছিল শেষে পুলিশের বাধা পেয়ে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষুব্ধ বিএলও-রা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হল বিবাদীবাগ চত্বর। শেষে তালা-চাবি হাতে CEO দফতরের বাইরেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিএলওদের একাংশ।

রাজ্যে SIR শুরুর পর থেকেই বিএলওদের অভিযোগ, তাঁদের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হচ্ছে। আগে থেকে কোনও নির্দিষ্ট নিয়মাবলী না দিয়ে এখন প্রতিদিনই ফোনে আসছে কমিশনের নতুন নতুন নির্দেশ। ফর্ম ডিজিটালাইজেও অনেক সময় লাগছে। সঙ্গে সার্ভারের সমস্যা তো আছেই। তার মধ্যে কমিশনের কাছে সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানালেও মানা হয়নি। উল্টে কাজ শেষের সময়সীমা ৪ ডিসেম্বর থেকে কমিয়ে ২৫ নভেম্বর করে দেওয়া হয়েছে। মারাত্মক মানসিক চাপের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিনই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বিএলওরা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কিংবা আত্মঘাতী হয়ে প্রাণও গিয়েছে কয়েকজন বিএলও-র। এরপরই অভিযোগের পাহাড় নিয়ে সিইও দফতর অভিযানে নামেন বিএলওদের একাংশ।

এদিন বিএলওরা (BLO) মিছিল করে কমিশনের দফতরে পৌঁছলে স্বাভাবিকভাবেই বাধা দেয় পুলিশ। এক বিএলও সেই বাধা টপকে কমিশনের অফিসের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি জানান, যেভাবে নির্বাচন কমিশন এতকিছু দেখার পরও চোখ-কানে তালা দিয়ে আছেন, তাতে তাঁদের দফতরেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া উচিত। প্রতিবাদে সেখানেই ধরনায় বসে পড়েন বিএলওরা। তবে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এসআইআর-এর বিরোধিতা করছেন না তাঁরা। কাজ করবেন না, সেটাও বলছেন না। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ছাড়াই যেভাবে যেভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে, তারই প্রতিবাদে পথে নেমেছেন বিএলওরা। শুধু বাংলার নয়, গোটা দেশের বিএলওদের মৃত্যু নিয়েও সরব তাঁরা। বিক্ষোভের মাঝেই এদিন এক বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

–

–

–

–

–

–

–

