এসআইআরের নামে এনআরসি করার চক্রান্ত চলছে! এমনই তোপ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনগাঁর জনসভা থেকে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন বিজেপির নির্দেশে চলছে। তার কথায়, সারা দেশে আধিপত্য কায়েম করার পরে বিজেপি এখন বাংলাকে দখল করতে চাইছে, কিন্তু বাংলার মানুষ তাদের ভালোভাবে চেনেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এসআইআর করতে তিন বছর সময় লাগে, অথচ কমিশন দুই মাসে শেষ করতে চাইছে। তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, তৃণমূল কখনওই কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার ঘটনা বরদাস্ত করবে না। ‘‘আমাকেও আধার কার্ড করতে সময় দেওয়া হয়েছিল। এখন বলছে লাগবে না। ব্যাঙ্কে আধার নয়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আধার নয়— কিন্তু এসআইআরে হ্যাঁ আধার? গোলমালটা কোথায়?’’— প্রশ্ন ছুড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেও এদিন কড়া হুঁশিয়ারি দেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘জীবিত বাঘের চেয়ে আহত বাঘ বেশি ভয়ঙ্কর। তাই আঘাত করবেন না। আঘাত করলে প্রত্যাঘাতের জন্য তৈরি থাকুন।’’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সরাসরি আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এক মুখে দু’ধরনের কথা বলছেন কেন্দ্রের মন্ত্রী। ‘‘একবার বলছেন ২০২৪-এর আগে যারা এসেছে তাদের তাড়ানো হবে না। আবার কমিশন বলছে ২০০২ সালের তালিকা মানতে হবে। কোনটা ঠিক?’’— এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতার অভিযোগ, বাংলাকে অপবাদ দেওয়া বিজেপির নেশা। ‘‘সীমান্ত কার অধীনে? বিমানবন্দর কে সামলায়? পাসপোর্ট–কাস্টমস কার নিয়ন্ত্রণে? তাহলে বাংলাকে কেন দোষ দেন?’’— প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।
তৃমমূল সুপ্রিমোর দাবি, মোদি সরকার বাংলা–বিদ্বেষী বলেই রাজ্যকে বারবার কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি অনুপ্রবেশ রুখতেই এসআইআর হয়, তাহলে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যে এই প্রক্রিয়া কেন চলছে না? চার রাজ্যে একসঙ্গে নির্বাচন হচ্ছে, কিন্তু বাংলায় আলাদাভাবে এসআইআর— তা কেন? সভা থেকে মমতা অভিযোগ করেন, বাংলাকে জব্দ করতে, বাঙালি ও বাংলা ভাষাকে স্তব্ধ করতে চাইছে বিজেপি। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাকে পছন্দ নয় বলেই বাংলাকে নিশানা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন- মন্দিরবাজারের সভা থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ তৃণমূলের, শুভেন্দুকে কটাক্ষ সুদীপের
_
_
_
_
_
