দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় রবিবার জনস্রোত চোখে পড়ার মতো। সভার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র সুদীপ রাহা। কেন্দ্রের “একাধিক জনবিরোধী নীতি” এবং এসআইআর-এর নামে “মানুষকে বিভ্রান্ত করার” অভিযোগ তুলে তিনি এদিন সরব হন। শুভেন্দু অধিকারীর আগের দিনের সভাকে “ফ্লপ” বলে কটাক্ষ করে সুদীপ রাহা দাবি করেন, মন্দিরবাজারের জনসমাগমই প্রমাণ করছে যে ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপির অস্তিত্ব আরও সঙ্কুচিত হবে। তাঁর কথায়, “লক্ষ্য একটাই— বিজেপিকে তিরিশের নিচে নামিয়ে আনা।”
সভা মঞ্চেই বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দেন। এ প্রসঙ্গে রাহার ব্যাখ্যা, “মানুষ বুঝে গিয়েছেন, বিভ্রান্তি আর ভাঁওতা দিয়ে লাভ নেই। উন্নয়নের পথ একটাই— তৃণমূল।” এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও তীব্র আক্রমণ শানান সুদীপ রাহা। সাম্প্রতিক মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “মানুষকে বিভ্রান্ত করা চলবে না। দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য জবাবদিহি করতেই হবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার, জেলা সভাপতি ও বিধায়ক জয়দেব হালদার এবং সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র। মহিলাদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি এদিনের সভাকে আরও সরব করে তোলে। শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ করে তীব্র কটাক্ষ করেন সাংসদ বাপি হালদার। তাঁর অভিযোগ, “বড় বড় কথা বলে কিছু হয় না। শুভেন্দু অধিকারীর সভা আগেই দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপির ভাঁওতা মানুষ আর নিচ্ছে না।” তিনি আরও বলেন, “উত্তেজনা ছড়িয়ে ভোট বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। বাংলার মানুষ উন্নয়ন চায়, প্রগতি চায়।” রবিবারের এই সভার মাধ্যমে তৃণমূল যে ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক বার্তা স্পষ্ট করে দিল— তা হল কেন্দ্রের নীতির বিরোধিতা এবং বিজেপির বিরুদ্ধে আগ্রাসী লড়াইয়ের ঘোষণা, যার নেতৃত্বে এদিন ছিলেন সুদীপ রাহা।
আরও পড়ুন- ট্রেনে উঠে গন্তব্য বদল! রাজ্যপালের গতি প্রকৃতিতে ফের প্রশ্ন
_
_
_
_
_
_
_
