কেন ফিরিয়ে আনছেন না এদের? আপনাদের কাছে তথ্য যাচাইয়ের পথ তো খোলা আছে। তালে তাঁদের কথা বলতে দিন, কেন্দ্রের বাংলা-বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে কড়া পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বীরভূমের বাসিন্দা গর্ভবতী সোনালি খাতুনসহ (Sunali Khatun) যে ছয়জনকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করেছে কেন্দ্রের নির্লজ্জ সরকার (Central Government), তাদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেশের শীর্ষ আদালতের।
কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) কেন্দ্রের সরকারকে সমস্ত নথি যাচাই করে সোনালিসহ ছয়জনকে বাংলাদেশ থেকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিল। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল চার সপ্তাহের। অক্টোবর মাসে সেই সময়সীমা শেষ হলেও আদালতের নির্দেশকে গ্রাহ্যই করেনি কেন্দ্রের বাংলা বিরোধী সরকার। এবার সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত (CJI Surya Kant) ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে চরম ধাক্কা খেল কেন্দ্রের সরকার।
এই মামলায় কেন্দ্রের আইনজীবী একদিন সময় চেয়েছিলেন। তবে সেই আবেদনের কান না দিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ, জমির দলিল সব রয়েছে। এবং তা পেশ করা হয়েছে। যদি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে থাকত তারা, তবে তাঁদের ওই দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে আপনাদের। কিন্তু এখানে তথ্য পেশ করা হচ্ছে। তাহলে আগে অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ (interim step) হিসাবে তাঁদের আগে ভারতে নিয়ে আসুন। তারপর আপনাদের এজেন্সির মারফৎ যাচাই করুন তাঁদের নাগরিকত্ব (citizenship)। সেই সুযোগ রয়েছে আপনাদের। কিন্তু আগে তাঁদের ফিরিয়ে আনুন।
আরও পড়ুন : ১০-এর বদলে ৫-এর বৈঠকে সম্মতি কমিশনের! কোথায় স্বচ্ছতা, প্রশ্ন অভিষেকের
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে কেন্দ্রের সরকারের গালে সপাটে চড় কষানোর ইঙ্গিত দেখছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam) জানান, সোনালি খাতুনকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার (deportation) মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের বাংলা-বিরোধী বিজেপির সরকারকে পিছু হঠতে বাধ্য হতে হল। গর্ভবতী সোনালি খাতুনকে বাংলাদেশে (Bangladesh) পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় কোনও রকম বাস্তবতা যাচাই না করায় কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হল। মঙ্গলবারের শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে আরও একদিন সময় চাওয়া হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ আগে অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ হিসাবে ছয় জনকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে হবে। মামলাটির পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।
–
–
–
–
–