বিয়ে ঠিক হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই রাজ্যে ঘোষিত হল SIR, আর তার সঙ্গে বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়ল পাত্র সৌম্যদীপ রায়ের কাঁধে। ফলে নিজের বিয়ের আনন্দও কাটল সরকারি কাজ সামলানোর তাড়নায়।

ইটাহার থানার পতিরাজপুর অঞ্চলের চাভোট গ্রামের বাসিন্দা সৌম্যদীপ পেশায় দুর্গাপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কর্মী ও বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি এলাকার বিএলও। বৃহস্পতিবার বৌভাতের আয়োজন, বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের ভিড়, তার মাঝেই নববধূকে পাশে বসিয়ে ইনিউমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজ করার কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় তাঁকে। নবদাম্পত্যের প্রথম দিনেও যেন বিশ্রাম নেই সোর্স লিস্ট আপডেটের কাজ থেকে।

কয়েক বছর আগে বাবাকে হারিয়েছেন সৌম্যদীপ। মা রিনা রায়কে নিয়ে চাভোট গ্রামেই তাঁর বসবাস। মালদা শহরের সুতপা মৈত্রর সঙ্গে ঠিক হয়েছিল বিয়ে। কিন্তু BLO-র দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বিয়ের প্রস্তুতি আর সরকারি কাজ—দুটোই সামলাতে নাজেহাল তিনি। গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় বেশিরভাগ কাজ আগেই শেষ করলেও শেষ মুহূর্তের ইনিউমারেশন সংক্রান্ত কাজ বৌভাতের দিন পর্যন্ত টেনে আনে তাঁকে।

সরকারি দায়িত্ব ও ব্যক্তিগত জীবনের আনন্দ—দুটোর ভারসাম্য রাখতে গিয়ে সৌম্যদীপের দিন কেটেছে চরম ব্যস্ততায়। তবে নববধূ সুতপা মৈত্রও পাশে দাঁড়িয়ে স্বামীর দায়িত্ববোধে গর্বিত বলেই জানিয়েছেন পরিবার-পরিজনেরানতুন জীবনের শুরুতেই কর্তব্যের এমন দৃষ্টান্ত নজর কেড়েছে গ্রামবাসীরও। তাঁরা বলছেন, “বিয়ের দিনেও যিনি দায়িত্ব পালন করেন, তিনি ভাল কাজই করবেন।”



