বার বার নির্বাচন কমিশন নিজেদের করা ভুল কাজের খেসারত বিএলও-দের দিতে বাধ্য করছে। এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরই কমিশনের কারণে ইনিউমারেশন ফর্ম (enumeration form) এসে পৌঁছায় দেরিতে বহু জায়গায়। তা সত্ত্বেও দিল্লির কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী বিএলও-দের (BLO) কাজ করতে বাধ্য করায় রাজ্যে প্রাণ গিয়েছে তিন বিএলও-র। এবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিএলও অ্যাপ (BLO app)। তারপরেও বিএলও-দের সময়ে কাজ শেষ করার চাপ দিতে কসুর করছে না কমিশন (Election Commission)। তার জেরে বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন আরও এক বিএলও।

লাগাতার প্রচণ্ড কাজের চাপে বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে পড়েন রাসবিহারী বিধানসভার ৯৩ নং ওয়ার্ডের ২৫৬ নং পার্টের বিএলও প্রদীপ ভুক্তার। ইনিউমারেশন ফর্মের (enumeration form) ডিজিটালাইজেশনের (digitalisation) কাজ করতে করতে এদিন দুপুরে আচমকাই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। তৃণমূলের বিএলএ-২ ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমি দাসের তৎপরতায় অসুস্থ বিএলওকে দ্রুত যাদবপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিএলওকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

চিকিৎসকেরা অসুস্থ প্রদীপ ভুক্তারকে আগামী কয়েকদিন সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। হাসপাতালে কমিশনের তরফে অসুস্থ বিএলও-কে দেখতে আসেন এক পদাধিকারী। তাঁদের সঙ্গে হাসপাতালে আসা অসুস্থ বিএলও-র সুপারভাইজারের ঝামেলা বাঁধে। অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে কমিশনের আধিকারিকদের মধ্যেই অশান্তির সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন : SIR-ই দায়ী: উত্তরপ্রদেশে দুদিনে ২ BLO আত্মঘাতী, ১জনের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু!

অথচ বুধবার থেকেই অকেজো হয়ে রয়েছে কমিশনের বিএলও অ্যাপ (BLO app)। ফলে ইনিউমারেশন ফর্মের তথ্য অ্যাপে আপলোডের (upload) কাজ এগোচ্ছে না। বিএলওদের অভিযোগ, বুধবার থেকে স্তব্ধ হয়ে রয়েছে এসআইআর-এর কাজে ব্যবহৃত অ্যাপ। ফলে তথ্য আপলোড কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে বললেই চলে। তা সত্ত্বেও কাজের চাপে কোনও কসুর রাখছে না কমিশন। এখনও আধিকারিকদের দাবি, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে যাবতীয় কাজ।

অন্যদিকে এসআইআর-এর কাজে বেরিয়ে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গিয়ে পা ভাঙল উত্তর চব্বিশ পরগণার এক বিএলও-র। চিরঞ্জিত মজুমদার নামে ওই বিএলও বর্তমানে হাবরা (Habra) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার সন্ধ্যায় এসআইআরের (SIR) কাজে বেরিয়েছিলেন অশোকনগর মানিকতলা এলাকার চিরঞ্জিত মজুমদার। হঠাৎ মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যান। শরীরের একাধিক জায়গায় ও পায়ে চোট পান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক জানান, তাঁর পা ভেঙে গিয়েছে।

–

–

–

–

