ডায়মন্ড হারবারে সরিষা মোড়ে খোদ বিজেপি (BJP) কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে এবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) কনভয়। বৃহস্পতিবার, কনভয় সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে আটকে বিক্ষোভ, স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীদের। এদিন একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। হঠাৎ করেই তাঁর কনভয় ঘিরে “গো ব্যাক” স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি-র স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। শোনা যায় “দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) জিন্দাবাদ” স্লোগানও।
সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল তাঁরা স্থানীয় বিজেপি কর্মী কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের প্রতি একেবারেই উদাসীন। কোনও সমস্যা হলে নেতারা পাশে দাঁড়ান না। ক্ষোভ উগরে তাঁদের বলতে শোনা যায়, “আমরা মার খাই, আর নেতারা শুধু মঞ্চে বক্তৃতা দেন। আমরা জেলে যাই কিন্তু নেতারা আমাদের পাশে দাঁড়ান না। আমরা সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমরা বিজেপি কর্মী হওয়া সত্ত্বেও তিনি আমাদের সাথে দেখা করলেন না। আজ আমরা বুঝতে পারছি না কেন সুকান্ত মজুমদার নেতা না শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari) নেতা! তৃণমূল থেকে এসে শুভেন্দু নেতা হয়ে গেলেন আর তিনি তাঁর কর্মীদের নিয়ে দলটা চালাচ্ছেন। সুকান্ত মজুমদার সেই লবিতে পা দিয়েছেন। অথচ যেই দিলীপ ঘোষ আমাদের পাশে ছিল তাঁকেই আমরা পাচ্ছি না।”
নীচুতলার কর্মীদের এই মন্তব্য ঘিরেই নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। দলের অন্দরে যে পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপোষণ ও নীচুতলার কর্মীদের প্রতি যে অবহেলা চলছে, এদিনের এই ঘটনার পরে তা আরও একবার স্পষ্ট হল। যদিও এই ঘটনাতে অস্বস্তি ঢাকতে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা তৃণমূল কর্মী, বিজেপির সেজে এসেছিলেন। যদিও সুকান্তর এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumder) বলেন, বিজেপি মুখ বাঁচাতে এখন তৃণমূলের (TMC) দিকে আঙুল তুলছে। এর সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।
–
–
–
–
–
–
–