মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক শেষেই জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদে বহরমপুরে। বুধবার সকালে তিনি হেলিকপ্টারে করে উড়ে যাবেন মালদহ (Maldah) জেলায়। সেখানে তিনি একটি জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। মালদার সভা শেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) ফের হেলিকপ্টারে করে বহরমপুরে (Behrampur) ফিরে আসার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা নাগাদ তৃণমূল সুপ্রিমো বহরমপুর স্টেডিয়ামে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদ সফরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বহরমপুর শহরকে মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টার, ফ্লেক্স এবং ব্যানার দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী সভায় বহরমপুর স্টেডিয়ামে দেড় লক্ষ মানুষের জমায়েত করা হবে।
বুধবার মালদহের গাজোলে (Gazole) সভা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার ২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই গাজোল কলেজ মাঠ জুড়ে দেখা গেল ব্যস্ততার অন্য ছবি। মঞ্চ নির্মাণ, ব্যারিকেড বসানো, মাইক-লাইট লাগানো থেকে শুরু করে নিরাপত্তা বলয়ের চূড়ান্ত খতিয়ান সব ক্ষেত্রেই চলছে দ্রুত কাজ।
আরও পড়ুন : চা শ্রমিকদের পাশে শ্রেষ্ঠ প্রশাসন বাংলাতেই: খতিয়ান পেশ মুখ্যমন্ত্রীর
মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কার্যত দিনরাত এক করে মাঠে নেমে পড়েছেন সভাকে সফল করে তুলতে। ব্লকে ব্লকে চলছে কর্মী বৈঠক, প্রচার এবং প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা। প্রতিটি অংশেই নজর রাখা হচ্ছে যাতে জনসভায় (public rally) কোনও ত্রুটি না থাকে। মঙ্গলবার গাজোল ব্লক তৃণমূল সভাপতি রাজকুমার ও অন্যান্য নেতৃত্ব সরেজমিনে কলেজ মাঠে উপস্থিত হয়ে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। মাঠ জুড়ে শ্রমিকদের অবিরাম কাজ, নেতাদের তদারকি এবং সর্বত্র তৎপরতা সব মিলিয়ে গাজোলে মুখ্যমন্ত্রীর আগমণকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
–
–
–
–
–
