এসআইআর সংক্রান্ত চাপে একই দিনে দুটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল রাজ্যে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে আতঙ্কে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ, অন্যদিকে হাওড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী এক শিক্ষক—উভয়ের ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের দিকে।
কোচবিহারের তুফানগঞ্জের সীমান্ত লাগোয়া বালাভূত এলাকায় বুধবার দুপুরে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় হাসিনা বিবি নামে এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আধার কার্ডে তাঁর নাম ‘হাসিনা বিবি’ হলেও ভোটার কার্ডে নাম ছিল ‘হাসিনা রিবি’। দুটি সরকারি নথিতে ভিন্ন বানানের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। প্রায়ই আশঙ্কা প্রকাশ করতেন—নামভেদ থাকার কারণে ভিটে-মাটি বা নাগরিকত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যায় পড়তে হবে কি না। এ নিয়ে বারবার প্রতিবেশীদের কাছেও প্রশ্ন করতেন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে আরও ভেঙে পড়েন। বুধবার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগান হাসিনা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। ঘটনার পর মৃতার বাড়িতে যান জেলাসভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, কমিশনের হঠকারী সিদ্ধান্তের জেরে বারবার এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে—অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এদিকে, হাওড়ায় এসআইআরের অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক প্রাথমিক শিক্ষক। অভিযোগ, ৫০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে জোর করে বিএলও-র দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছিল। অতিরিক্ত কাজের চাপ ও শারীরিক অসুস্থতা মিলিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি হচ্ছিল বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যবন্ধু প্রকল্পে তিন সপ্তাহে পরিষেবা পেলেন এক লক্ষের বেশি মানুষ, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

_

_

_

_

_

_
_


