মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে তৃণমূল (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সভার আগেই দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে (Humyun Kabir)। বৃহস্পতিবার, জনসভা থেকে নাম করে হুমায়ুনকে নিশানা করলেন মমতা। তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “একটা ধান পচে গেলে সরিয়ে দিতে হয়। নাহলে বাকি গুলো পচে যায়। কিছু পোকামাকড় থাকবেই। তাদের সরিয়ে দিলে দেশ চলবে রাজ্য চলবে, সব চলবে।” একই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতার (Mamata Banerjee) সভা শুরু কিছুক্ষণ আগেই দল থেকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। সভা থেকে নাম না করে ভরতপুরের বিধায়ককে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সভানেত্রী। বলেন, মুর্শিদাবাদে নতুন করে কোনও গোষ্ঠী সংঘর্ষ হোক আমি চাই না। কেউ কেউ টাকা খেয়ে বিজেপির তাঁবেদারি করেছে, তারা দেশের শত্রু। যাঁরা নির্বাচনের ২মাসের আগে রাজনীতি করে তাঁদের চিনে রাখুন। এর পরেই নিজস্ব স্টাইলে মমতা বলেন, “শাকের বান্ডিলে একটা পচা থাকলে সেটা ফেলে দিন। একটা ধান পচে গেলে সরিয়ে দিতে হয়। নাহলে বাকি গুলো পচে যায়। কিছু পোকামাকড় থাকবেই। পোকামাকড় আসলে সরিয়ে দিন। তাদের সরিয়ে দিলে দেশ চলবে রাজ্য চলবে, সব চলবে।”
আরও খবর: বিজেপি উস্কানিতে বাংলায় ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি, হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ”সব ধর্মকে সম্মান জানাই। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে রক্ষা করতে চাই। সংবিধান আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে শিখিয়েছে৷ বাংলার মাটি স্বাধীনতা আন্দোলন করছে।” বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, ”সাম্প্রদায়িকতা বরদাস্ত করব না। মুর্শিদাবাদের ইতিহাস আমরা ভুলতে পারিনা। এই জেলা নবাবদের জেলা। সব ধর্মের তীর্থস্থান আছে এই জেলায়। পলাশিতে বাংলার সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছিল। সিরাজউদ্দৌলা মিরজাফরের মাথায় মুকুট তুলে দিয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু মিরজাফর তা করতে দেননি। এখানে সিরাজউদ্দৌল্লা ঘরে ঘরে পূজিত হন। সিরাজকেই সকলে মনে রেখেছেন। মুর্শিদাবাদের মানুষ হানাহানির রাজনীতি মানবে না।”
–
–
–
–
–
–
–
