দেশের শীর্ষ লিগ নিজেদের উদ্যোগে চালানোর জন্য এআইএফএফ ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রককে সম্মিলিত চিঠি পাঠাল আইএসএলের ১৩টি ক্লাব(ISL Clubs)। কিন্তু সেখানে অংশ নেয়নি ইস্টবেঙ্গল।মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের নেতৃত্বে সম্মিলিত ক্লাব জোটের লিগের প্রস্তাব জমা পড়ল ক্রীড়া মন্ত্রকে, সই নেই ইস্টবেঙ্গলের।
আইএসএলের ক্লাবগুলির (ISL Clubs) আর্জি, এই মাসের মধ্যেই সমস্যা মেটানোর আর্জি জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি স্পষ্ট করে দিয়েছে, লিগ আয়োজন করতে হলে দরকারে ক্লাবগুলি মিলে নিজেরাই একটি সংস্থা তৈরি করবে, যারা লিগ চালাবে। সেখানে প্রত্যেক ক্লাবেরই সদস্য থাকবে এবং প্রতিটি সিদ্ধান্ত সব ক্লাবের অনুমতিতেই নেওয়া হবে।

কয়েকদিন আগেই দেশের ফুটবলের সঙ্গে জড়িয়ে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী। কিন্তু দিনভর ম্যারাথন বৈঠকের পরও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। এবার আইএসএল বাঁচাতে জোটবদ্ধ হল আইএসএল ক্লাব গুলি।

কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকে যে চিঠি পাঠিয়েছে ক্লাবগুলি তাতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১১ বছর ধরে ক্ষতি স্বীকার করেও তারা নির্দিষ্ট বাণিজ্যিক কাঠামো ও কেন্দ্রীয় আয়ের উপর ভর করে ফুটবলে বিনিয়োগ করে এসেছে। কিন্তু বর্তমানে সেই আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্লাবগুলির পক্ষে খেলোয়াড় ও কর্মীদের বেতন দেওয়া এবং লিগ পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

এখানে থেমে না থেকে ক্লাব জোটের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে , দরকার পড়লে তারাই একটি সংস্থা তৈরি করে লিগ আয়োজন করতে রাজি। শুধু ফেডারেশনকে তার ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকার এবং দরকারে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে কথা বলে।ক্লাবগুলির আর্জি, সাংবিধানিক জটিলতা মিটিয়ে দ্রুত নতুন করে টেন্ডার ডাকা হোক। সময়সীমা তৈরি করা হোক, যা মেনে চলতেই হবে।

আগামী ৮ ডিসেম্বর আইএসএলের আয়োজক এফএসডিএল-এর সঙ্গে মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট শেষ হচ্ছে ফেডারেশনের। এখনও বোঝা যাচ্ছে না পরের লিগের আয়োজক কে হবে, কবে লিগ শুরু হবে। সময় আর ভাগ্যের উপর নির্ভর না করে নিজেরাই লিগ চালাতে উদ্যোগী হল আইএসএল ক্লাবগুলি। চিঠির বিষয়টি স্বীকার করেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।

–

–

–

–


