গোটা সপ্তাহ জুড়ে ইন্ডিগো (IndiGo Airlines) উড়ানে একের পর এক বিশৃঙ্খলা। কখনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি, কখনও কর্মী সংকট, কখনওবা পাইলটদের ছুটি নিয়ে ঝামেলা। আর এসবের জেরে যাত্রী ভোগান্তি চরমে। শুক্রবারও হাজার খানেকের উপর ফ্লাইট বাতিল থাকায় ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে কোনও ফ্লাইট টেক অফ করেনি, কলকাতা বিমানবন্দরেও বাড়ছে অসন্তোষ। আজ শনিতেও কি একই দুর্ভোগ বজায় থাকবে? অবশেষে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন উড়ান সংস্থার সিইও পিটার এলবার্স (Pieter Elbers, CEO of IndiGo)। ক্ষমা চেয়ে জানালেন, পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক হবার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।

শুক্রবার দেশের প্রায় সমস্ত প্রান্তের সব অন্তর্দেশীয় বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো। শনিতেও সংখ্যাটা বেশ কয়েকশো। স্বাভাবিকভাবেই বিক্ষোভ বিরক্তি দুটোই বাড়ছে। ইন্ডিগোর তরফে বারবার বলা হয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক, সিডিউল এবং ক্রু-অপারেটরদের সমস্যা (Crew Operator Issue) পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু কতদিন? ঠিক কোন তারিখ থেকে পরিষেবার স্বাভাবিক হবে? ক্রমশই জোরালো হচ্ছে এই প্রশ্ন। চাপের মুখে ভিডিও বার্তা দিয়ে সংস্থার সিইও এলবার্স জানান, “আমাদের সংস্থার কাজের পরিধি ও জটিলতার কথা মাথায় রেখে আশা করছি আমরা ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি স্বাভাবিক পরিষেবা দিতে পারব।বিমান বাতিল ও দেরির কারণে যাত্রীদের যে বিরাট অসুবিধা ও মানসিক চাপের মুখে পড়তে হয়েছে তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে আমি সব যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাইছি। এই ঘটনায় ইন্ডিগোর প্রতি যাত্রীদের দীর্ঘদিনের আস্থা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছি সেই আস্থা ফেরানোর এবং পরিষেবা আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী করার।” আজ থেকে সুশৃংখলভাবে অপারেশন চালাতে নতুন সিডিউল করা হচ্ছে বলে উড়ান সংস্থার তরফে জানা গেছে।

বাস্তব ছবিটা যদিও সম্পূর্ণ অন্যরকম। শনিবার সকালেও বিমান দুর্ভোগ অব্যাহত। কেরলের তিনবনন্তপুরম বিমানবন্দরে তিনটি আন্তর্দেশীয় ও তিনটি অন্তর্দেশীয় উড়ান বাতিল। আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টার মধ্যেই বাতিল হয়েছে ১৯টি উড়ান। এদিন চেন্নাই বিমানবন্দরে (Chennai Airport) সকাল ৯টা পর্যন্ত ক্যান্সেল হওয়া ফ্লাইটের সংখ্যা ২৯।ইন্ডিগোর এই বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের স্বার্থ রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একটি জনস্বার্থ মামল/১৪ দায়ের হয়েছে। পিটিশনে আদালতকে সুয়োমোটো নজরদারি শুরু করার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক এবং ডিজিসিএ-কে বিস্তারিত স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
–

–

–

–

–

–

–
–
–


