লক্ষ লক্ষ দেশবাসী গত ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দেশের নানা প্রান্তে বিপর্যস্ত। কারো বিয়ে, কারো পরীক্ষা আটকে গেলেও পৌঁছানোর উপায় নেই। নির্ভরযোগ্য বিমান যাত্রাই তাঁদের জন্য এবার কাল হল। ইন্ডিগো (Indigo) বিমান দুর্ভোগে ফায়দা লুটতে শুরু করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী বিমান সংস্থাগুলি। দেদার বাড়ানো হচ্ছে প্লেনের ভাড়া (flight fare)। দেশের অসামরিক বিমান পরিবহনের (civil aviation) উপর আজও যে ডিজিসিএ-র (DGCA) কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, স্পষ্ট হয়ে গেল প্রতিকূল পরিস্থিতিতে একাধিক দিন কাটানোর পরও অস্বাভাবিক বিমান ভাড়া নিয়ন্ত্রণে তাঁদের ব্যর্থতায়।
শুক্রবার কলকাতা থেকে মুম্বই (Kolkata-Mumbai) যাওয়ার জন্য বিমানের ভাড়া একজনের কখনও ৭৫ হাজার কখনও বা ৯০ হাজার পর্যন্ত চড়ল। যেখানে লন্ডন (London) যাওয়ার বিমান ভাড়া ৫০ হাজার টাকার কম। দিল্লি থেকে লন্ডন যাওয়ার ভাড়া যেখানে ২১ হাজার টাকা পর্যন্তও নেমেছে, সেখানে রাঁচি যেতে লাগল ৫৯ হাজার টাকা। অথচ সব দেখেও বিমান ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কোনও সদর্থক ভূমিকা পালনে ব্যর্থ ডিজিসিএ।

আরও পড়ুন : রাশিয়ার সহযোগিতায় ভারতে সবথেকে বড় পারমাণবিক প্রকল্প: ঘোষণা পুতিনের

এই পরিস্থিতিতে রেল মন্ত্রক দেশে শুক্র ও শনিবার কিছু বিশেষ ট্রেন (special train) চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেলের (Ministry of railway) দাবি, যে এলাকায় বিমানে যাত্রীর চাপ সবথেকে বেশি, সেখানে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অথচ কলকাতা থেকে অত্যন্ত বেশি বিমান ভাড়া দেখালেও বাংলার ভাগ্যে কোনও বিশেষ ট্রেনের শিকে ছেঁড়েনি। দেশের রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি মুম্বই, বেঙ্গেলুরু, পুনে এমনকি লক্ষ্ণৌ থেকেও বিশেষ ট্রেন চালানোর ঘোষণা করা হয়।

–

–

–

–

–

–


