Saturday, December 6, 2025

বকেয়া নিয়ে সংসদে ভুল বোঝাচ্ছে কেন্দ্র: দিল্লিতে সরব দুই ডেপুটি লিডার

Date:

শুধুমাত্র বাংলা বিরোধী জমিদারি চালে বাংলার প্রাপ্য দিতে নারাজ কেন্দ্রের স্বৈরাচারী বিজেপি সরকার। বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও ছেড়ে দেওয়া পাত্র নয়। ইতিমধ্যেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে (winter session) প্রতিটি ক্ষেত্র আলাদাভাবে তুলে ধরে বাংলার প্রাপ্যের দাবিতে সরব তৃণমূল সাংসদরা। সেখানেই মুখোশ খুলে যাওয়ায় এবার পিঠ বাঁচাতে মিথ্য়াচার করছে কেন্দ্রের সরকার (Central Government) সংসদে (Parliament) দাঁড়িয়ে। এবার দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের সরকারের মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস করলেন লোকসভার (Loksabha) ডেপুটি লিডার সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) ও রাজ্যসভার (Rajyasabha) ডেপুটি লিডার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose)।

সংসদে একশো দিনের কাজ থেকে বাংলার বাড়ি প্রকল্প – সবক্ষেত্রে বকেয়ার হিসাব তুলে ধরেন একাধিক সাংসদ প্রায় প্রতিদিন। বেগতিক দেখে কেন্দ্রের সরকার সংসদে দাবি করে, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে (MGNREGS) তাঁরা কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছেন। তার জন্য এখনও বাংলার টাকা বকেয়া (dues) রাখা হয়েছে। আদতে দেশের অন্য রাজ্যের টাকা আটকে রাখা হয়নি, তা কেন্দ্রের হিসাবেই স্পষ্ট। এমনকি ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির বরাদ্দের পরিমাণ বিপুল ভাবে বাড়ানোও হয়েছে। সেখানেই কেন্দ্রের সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট। সেই উদ্দেশ্যই শনিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে স্পষ্ট করে দিলেন সাংসদ শতাব্দী।

রাজ্যের বকেয়ার হিসাব তুলে ধরে সাংসদ সাগরিকা জানান, বাংলায় একশো দিনের কাজের প্রকল্পে যে কাজ হয়েছে তাতে রাজ্যের মানুষের বেতন বাবদ প্রাপ্য ৩,৭০০ কোটি। বেতন ছাড়া খরচ বাবদ বকেয়া ৩,২০০ কোটি। সব মিলিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত যে কাজ হয়েছে তাতে কেন্দ্রের কাছে বাংলার বকেয়ার পরিমাণ ৬৯ হাজার কোটি।

তবে শুধুমাত্র কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়াই নয়, বছরের পর বছর বাংলার বরাদ্দ আটকে রেখে বাংলাকে শায়েস্তা করার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এবছরই জুন মাসে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) কেন্দ্রের সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল বাংলার বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। পাল্টা সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রের সরকার, উদ্দেশ্য বাংলার বরাদ্দ আটকে রাখা। সেই মামলাতেও মুখ পুড়েছে কেন্দ্রেরই। সেপ্টেম্বর মাসে সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বাংলার বরাদ্দ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে হাই কোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করেনি। তারপরে ডিসেম্বর মাস পড়ে গেলেও কেন্দ্রের তরফে বাংলার বরাদ্দ দিতে কোনও উদ্যোগই দেখা যাচ্ছে না, তুলে ধরেন সাংসদ সাগরিকা।

আরও পড়ুন : বাস্তবিক সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা: মেয়ো রোড থেকে বিভাজনের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল

কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ না দিলেও তার হিসাব রাখতে ভোলেনি বাংলার শাসকদল। শনিবার দিল্লি থেকে সেই হিসাব তুলে ধরে দুই সাংসদ দাবি করেন, যে কাজ বাংলায় হওয়া উচিত ছিল এই কয়েক বছরের মধ্যে তার জন্য বকেয়ার পরিমাণ ৫২ হাজার কোটি টাকা। অথচ সেই দাবি সংসদে তুললেই সংসদকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র, দাবি শতাব্দীর। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় তহবিল না দেওয়া নিয়ে ক্রমাগত অস্বীকার করা। তা নিয়ে ক্রমাগত লোকসভায় ভুল তথ্য পেশ করা। মানুষকে ভুল বোঝানো।

Related articles

ভোটার তালিকা নিয়ে কমিশনকে কড়া হুঁশিয়ারি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের 

জেলা সফরের নবম দিনে পূর্ব বর্ধমানের দু'টি বিধানসভা – গলসি ও আউশগ্রামে – দলীয় নির্দেশিত ভোটার তালিকা সংশোধনের...

হাসপাতালের বেডে শুয়ে সন্তানের অপেক্ষায় সোনালি: প্রকাশ করলেন সুপ্ত ইচ্ছা

শুক্রবারই ভারতে ফিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন এবং তাঁর ৮ বছর বয়সী ছেলেকে। রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে...

কার্ল মার্ক্সের শিষ্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে অভিনব খোঁচা কল্য়াণের

বাংলার দক্ষ প্রশাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় একদিকে যেমন বাংলার শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় নিজে সচেষ্ট। তেমনই তাঁর সৈনিকেরাও শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষার...

বাস্তবিক সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা: মেয়ো রোড থেকে বিভাজনের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল

দেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন ৬ ডিসেম্বর। প্রতিবছর বাংলার শাসকদল তৃণমূলের তরফে এই দিনটি সংহতি দিবস হিসাবে সম্প্রীতি...
Exit mobile version