ফের একবার বামেদের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩২ হাজারের শিক্ষক নিয়োগের রায় বহাল থাকা থেকে শুরু করে সোনালী বিবিকে দেশে ফেরানোর বিষয়—একাধিক প্রসঙ্গকে সামনে রেখে লুপ্তপ্রায় বামফ্রন্টকে একহাত নিলেন তৃণমূল সাংসদ।
তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে যেমন, এবারও নিয়োগ–প্রক্রিয়ায় অযথা জটিলতা সৃষ্টি করেছেন বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। যদিও আদালতের রায়কে “মানবিক” বলে আখ্যা দিয়ে তা মেনে নেওয়ার কথাও স্পষ্ট করে জানান কল্যাণবাবু। সাংসদের কথায়, “যার মানবিকতা নেই, সে মানুষ মনুষত্বহীন। এই রায়ের ছত্রে ছত্রে বলা আছে—দুর্নীতি প্রমাণ হয়নি। ইনোভেটিভ আইডিয়া নিয়ে কখনো মামলার বিচার হয় না। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেকে ইনোভেটিভ আইডিয়া মনে করতেন। যারা মেধাতালিকায় নেই, যারা সুযোগ পায়নি—তাদের জন্য দরজা খুলে দিয়ে যোগ্যদের চাকরি খেয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল বামপন্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া, সাধারণ মানুষের নয়।”

সোনালী বিবিকে দেশে ফেরানোর প্রসঙ্গটিকেও মানবিকতার নিদর্শন বলে উল্লেখ করেন সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, “বামদের উঠে যাওয়ার কারণই হলো ওদের মানবিকতা উঠে গিয়েছিল। সিঙ্গুর আন্দোলন কৃষকদের আন্দোলন ছিল—সেখানে মানবিকতার প্রশ্ন ছিল। বুদ্ধবাবু তা দেখেননি, বামেরা দেখেনি। তাই আজ ওরা শূন্য।” তিনি আরও দাবি করেন, এখন যোগ্য ও নতুন প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, কিন্তু “বামপন্থীরা শুধু নিজেদের লোকদের চাকরি পাইয়েই দিতে চাইছে”।

গীতা পাঠ প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ লক্ষ মানুষ বিজেপি কোনোদিনও পাবে না। পাঁচ লক্ষের অঙ্কটাই জানে না ওরা। এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা অপদার্থ—মানুষের মনে জায়গা করার ক্ষমতা নেই।”

সাংসদের আক্রমণে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ তৈরি হয়েছে। বাম ও বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে তোপ দেগে তৃণমূল সাংসদের বার্তা—মানবিকতার জায়গা হারালে রাজনীতি থেকেও মানুষ বিদায় জানিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন – ঘুম হচ্ছে না সোনালির, পাশে দাঁড়াতে হাসপাতালে তৃণমূল নেতৃত্ব

_

_

_

_
_


