কখনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান ভুল বলা কখনও বিদ্যাসাগরের মূর্তি গড়িয়ে ফেলা আবার কখনও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (Bankim Chandra Chattopadhyay) নাম পদবী ভুল। তবে কেন্দ্রের অন্যান্য বিজেপি নেতাদের থেকে এক কাঠি উপরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি আবার সরাসরি সাহিত্য সম্রাট কে ‘বঙ্কিম দা’ বলে সম্মোধন করেছেন। বাংলা বিরোধী বিজেপির দিনের পর দিন এ রাজ্যের মনীষীদের অপমান বরদাস্ত করা যাবে না। প্রথম থেকেই গর্জে উঠেছে বাংলার শাসক দল। মঙ্গলের সকালে সংসদের কেন্দ্রীয় কক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়দির ছবি হাতে মৌন প্রতিবাদে সামিল হন তৃণমূল সাংসদরা।

বন্দেমাতরমের দেড়শ বছর নিয়ে আলোচনায় সোমবার সংসদে সাহিত্য সম্রাটকে “বঙ্কিম দা” বলে অসম্মান-অপমান করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy), রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee), ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Ritabrata Bandopadhyay), সাগরিকা ঘোষ , মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), জুন মালিয়া, ডেরেক ও ব্রায়েন, দোলা সেন (Dola Sen), কীর্তি আজাদ-সহ তৃণমূলের প্রায় সব সাংসদদের দেখা গেল বিশ্বকবি ও সাহিত্য সম্রাটের ছবি হাতে মৌন প্রতিবাদ জানাতে।


সামনেই বাংলায় নির্বাচন, তাই নিজেকে বাংলা ‘দরদী’ প্রমাণ করতে গিয়ে বিজেপি নেতারা অবলীলায় বাংলার কৃতি মনীষীদের নাম উচ্চারণ করে নিজেদের বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রত্যেকদিন তাঁদের অপমান করে চলেছেন। এর আগে দেখা গেছিল রবি ঠাকুরের জন্মস্থান এই বহিরাগতরা জানেন না, বিপ্লবীদের নাম পদবী ভুল বলেন, এবার দেখা গেল স্বয়ং বন্দেমাতারামের স্রষ্টাকেও চেনেন না মোদি। অথচ সংসদে এই ‘বন্দেমাতরাম’কে ইস্যু করে বিরোধী কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে চাইছে বিজেপি (BJP)। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর মুখে “বঙ্কিম দা” শুনেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেন সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী বলেন “বঙ্কিম বাবু”। কিন্তু সেখানেও প্রশ্ন থেকে যায় সাহিত্য সম্রাটকে কি শুধুই “বাবু” বলে সম্বোধন করা যায়? বাংলার মনীষীদের এই অপমান কোনোমতেই বরদাস্ত করবে না ঘাসফুল শিবির। সোমবার কোচবিহারে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সংসদের বাইরে সাংবাদিক বৈঠকও করে তৃণমূল।

–

–

–

–

–

–

–
–


