খাস কলকাতায় বাঙালির খাদ্যাভ্যাস বদলানোর চেষ্টা বিজেপির মদতপুষ্ট দুষ্কৃতকারীদের। ময়দানে মার খেলেন বাঙালি ফেরিওয়ালারা (Hawker)। নষ্ট করা হল তাঁদের ব্যবসার জিনিস। দাগিয়ে দেওয়া হল বাংলাদেশি বলে। আর এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ রাজ্য প্রশাসনের। গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্তকে। কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) জনসভা থেকে দরিদ্র ফেরিওয়ালাদের উপর হামলা চালানো বিজেপির দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের ঘটনায় স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলায় উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) মতো মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হাত দেওয়া যে চলবে না, তা স্পষ্ট করে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
ময়দানে গীতাপাঠের মাঠের ধারে যে ফেরিওয়ালারা প্যাটিস বিক্রি (patties seller) করছিলেন তাঁদের মারধরের ঘটনায় গোটা দেশে নিন্দার মুখে বিজেপি। এমনকি গীতাপাঠের (Gitapath) আয়োজক সাধু সমাজও নিন্দা করেছে মারধরের। তারপরেও বিজেপির আইটি সেল বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে প্যাটিস বিক্রেতা মিথ্যে বলেছিলেন। কিন্তু আদতে যা হয়েছে তা সকলের কাছেই পরিষ্কার। মার খেয়েছেন রিয়াজুল শেখ নামে এক ফেরিওয়ালা। নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করতে হয়েছে মুনতাজুদ্দিন মুনির নামের ফেরিওয়ালাকে।

এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে ময়দান থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে মূল অভিযুক্ত সৌমিক গোলদার-সহ তিনজনকে। বাংলার মানুষের নিরাপত্তায় যেভাবে বাংলার প্রশাসন কাজ করছে, কৃষ্ণনগর থেকে তা তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বার্তা, গরীব হকার (hawker) জিনিস বিক্রি করতে গিয়েছে। সব মিটিংয়ই কিছু না কিছু বিক্রি করে। কেউ ঝালমুড়ি, কেউ ভেলপুরি বিক্রি করে। সেও তার মতো বিক্রি করতে গেছে। তার মাথায় এটা খেলেনি এটা বিক্রি করব, না ওটা বিক্রি করব। ধরে মেরেছ! কাল সবকটাকে গ্রেফতার (arrest) করেছি যারা গায়ে হাত দিয়েছে।

আরও পড়ুন : ব্রিগেডে প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ৩

সেই সঙ্গে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে যেভাবে মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তই বাসিন্দাদের বয়ে বেড়াতে হয়, তা যে বাংলায় চলবে না, তাও স্পষ্ট করে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। তিনি দাবি করেন, এটা বাংলা এটা উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh) নয়। এখানে তোমাদের গোদ্দারি চলবে না। এখানে তোমাদের হুকুম, আদেশ চলবে না। বাংলায় ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না।

–

–

–

–



