কথা রাখলেন না শতদ্রু দত্ত( Satadru dutta), অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের। পেলে-মারাদোনা-মার্টিনেজের পর কলকাতায় নিয়ে এলেন মেসিকেও। কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেন না তিনি। অতীতেও তাঁর আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিল না কোনও পরিকল্পনার ছোঁয়া। কিন্তু শনিবারের যুবভারতী সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল।
পরিকল্পনা ছিল অনেক কিন্তু এক শতাংশও বাস্তবায়ন হল না যুবভারতীতে। মেসি মাঠে আসবেন দেড় ঘণ্টার কাছাকাছি থাকবেন পেনাল্টি শট নেবেন, ফুটবলারদের টিপস দেবেন, সন্তোষ জয়ী বাংলা দলকে শুভেচ্ছা জানাবেন, মাঠ প্রদক্ষিণ করবেন, এক মঞ্চে থাকবেন মেসি,সৌরভ, মমতা, শাহরুখ খান। কিন্ত এই সব কিছুই সোনার পাথর বাটি হয়েই থাকল। আসলে এগুলো সবই শতদ্রুর ভাবনা, কোনও পরিকল্পনাই ছিল না।

মাঠে কোথাও একটা স্টেজ দেখা গেল না। তাহলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হত কোথায়, মেসি সুয়ারেজরা মাঠে এসে কী করবেন সেটার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও ছিল না। বক্সের সামনে মেসি এলেন শট মারার সুযোগই হল না। মাঠে মেসিকে ঘিরে হাজারও ছবি শিকারী কিন্তু তারা কারা, একটা হুডখোলা গাড়ি মাঠে নেই। মেসি মাঠ প্রদক্ষিণইতো দূরের কথা মাঠের দুই প্রান্তেই গেলেন না।

আরও আছে , ঘোষণা করা হয়েছিল যুবভারতীতে স্বয়ং মেসি সংবর্ধনা দেবেন সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলকে।সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলের সদস্যরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন মেসিকে সামনে থেকে দেখার।আয়োজকদের তরফ থেকে আই এফ এ-র সাথে যোগাযোগ করে কিছু ফুটবলারের নাম,সিলেক্ট করে পাঠানোর জন্য বলা হয়।আই এফ এ-র তরফ থেকে তখন জানানো হয় একটা দলের সাফল্যের পেছনে সবার অবদান সমান,তাই আলাদা করে কাউকে বাছা সম্ভব নয়,সংবর্ধনা জানানোর হলে পুরো দলকে যেন আমন্ত্রণ করা হয়,কিন্তু এই চিঠির উত্তর আর দেওয়া হয়নি আয়োজকদের তরফে।আর এভাবেই সন্তোষ জয়ী যে ফুটবলাররা স্বপ্ন দেখছিলেন মেসিকে একবার একই মঞ্চে থেকে চাক্ষুষ করার,তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল.

দর্শকরা বলছেন প্রতারক শতদ্রু( satadru Dutta), তাদের দাবি হাজার হাজার টাকা খরচ টিকিট কেটে মেসিকে একঝলকও দেখতে পেলেন না।যুবভারতীতে গোট কন্সার্ট-এ মেসির ধারেকাছে ঘেঁসতে দেওয়া হল না প্রাক্তন ফুটবলারদের,আবার এক ফুটবলারকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়া হল। এক কথায় অব্যবস্থার শিকার হলেন প্রাীতি ম্যাচ খেলতে আসা ফুটবলাররা। এর জবাবদিহি করতেই হবে আয়োজকদের।

স্টেডিয়ামে খাবারের দাম আকাশ ছোঁয়া, ১০ টাকার জল বিক্রি হল ১০০টাকায়, ২০ টাকার ফল বিক্রি হল ২০০ টাকায়। খাবারের দাম ৩০০,৪০০ কোনও সীমা নেই।

মেসিকে অনেক পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু সুয়ারেজ-দি পলরাও বড় মাপের ফুটবলার। তাদের নিয়ে আদৌও কোনও পরিকল্পনা ছিল, প্রশ্ন অনেক, উত্তর দেওয়ার মানুষটাই আপাতত জেলে। রাগ, ক্ষোভ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন দর্শকরা। কলঙ্কিত হত বাংলার ফুটবল।

–

–

–


