Sunday, December 14, 2025
উৎপল সিনহা

পাস থা বো তো কোই বাত
না মানি উসকি
অব লিয়ে ফিরতা হুঁ
আঁখো মে নিশানি উসকি
( শায়ের : ডঃ সফি হাসান,
কণ্ঠ : গুলাম আলি )

কাছে যবে ছিল
পাশে হলো না যাওয়া
চলে গেল যবে
তারি লাগিল হাওয়া।

তার কোনো কথা শোনা হলো না। অবজ্ঞা, অবহেলা আর অনাদরে মুখ ঢেকে চলে গেল সে। আর এখন?

দূরে চলে যাওয়ার পর তাকেই করেছি চোখের কাজল। এখন দু’নয়ন জুড়ে শুধুই সে। কিন্তু এসবে আর কী লাভ ? বড়ো দেরি হয়ে গেছে যে। সময় গেলে সাধন হবে কীভাবে ?

কভি নগমা কভি খুশবু
কভি অঙড়াই হ্যায়
কিতনে অন্দাজ বদলতি
হ্যায় জবানি উসকি

কখনো গান, কখনও মদির সৌরভ, কখনও বা শরীরী মোচড়ে পাশ ফেরা। তার অপরূপ যৌবন জলতরঙ্গ বড়ো রহস্যময়। তার মন দুর্জ্ঞেয়। কখন যে কী করবে জানে না কেউ। সেসব মুখ বুজে দেখে যেতে হয় শুধু। বড়োই মধুর সেসব , বড়ই উপভোগ্য। প্রথম বর্ষণের মতো। শুরুর শীতের মতো।

অনুভব করতে হয় মনপ্রাণ ঢেলে। তার চলে যাওয়ার পর ছবির মতো জেগে থাকে মায়াময় অতুল স্মৃতি। আর একটা, মাত্র একটা সুযোগ কি পাওয়া যেতে পারে না ?

আর একবার, মাত্র একটিবার তার মুখোমুখি দাঁড়ানোর সৌভাগ্য হবে কি আর ?

কাছে থাকতে পালাই পালাই
দূরে গেলে চোখে হারাই।

কিউঁ না ফির উসকো নিগাহোঁ মে বিঠাউঁ এয় দিল
মুঝকো আপনি হি লগি
সারি কহানি উসকি

এখন তো ওর সবকিছুই যেন আমারই গল্প। এখন তাহলে ওকেই চোখের মণি ভাববো না কেন? কিন্তু কেন যে সে চলে গেল, বলে গেল না , কোথায় গেল ফিরে এলো না!

তখন বুঝি নি ( কাছে থাকতে বোঝা যায় না কখনও) কিন্তু এখন অনুভব করি আমার প্রাণ ছুঁয়ে চলে গেছে সে বসন্ত – বাতাসের মতো। তার হাসি, তার কান্না, তার সুখ দুঃখ , মান – অভিমান ইত্যাদি সবকিছুই জমা রেখে গেছে সে আমার কাছে, আজ তার প্রতিটি আচরণের ছবি আমার কাছে স্বচ্ছ জলের মতো স্পষ্ট, অথচ সে কাছে থাকতে এসব বুঝি নি হায়!

চোখের বালি এখন চোখের মণি!
আজ খো কর উসে রোতে হো তো ক্যা হাসিল হ্যায়
কল মগর তুম নে সফি
কদ্র না জানি উসকি ।।

কাল যার অমর্যাদা করেছো আজ তার জন্য কেঁদে কী লাভ ? কাল যাকে স্থান পর্যন্ত দাও নি আজ তার জন্য হা – হুতাশ করে কী হবে?

‘ তখন কেঁদেও পাবে নাকো তারে বর্ষার অজস্র জলাধারে’।
তোমার চলার পথে পথে পড়ে থাকবে পায়ের চিহ্ন তারও । আজ তুমি জেতো অথবা হারো, কোনোভাবেই কি আর তাকে ফিরিয়ে আনতে পারো?

ঘুম ভাঙে দেরিতে, মন জাগে দেরিতে, কিছু স্মৃতি ফেলে রেখে বাকি সব কেড়ে নিয়ে ডাকাতের মতো চলে যায় সময়। এবার তুমি স্মৃতি নিয়ে, অনুতাপ, আক্ষেপ, অনুশোচনা আর হাহাকার নিয়ে বাকি জীবনটা কাটাও অন্ধকারে একা একা। প্রাণ খুলে করো প্রায়শ্চিত্ত, কিন্তু যা-ই করো না কেন ফিরে আর তাকে পাবে না।

কেন ফিরে ফিরে চাওয়া বারেবারে
কেন সে গান গাওয়া বারেবারে
যতোই চাও না কেন
যতোই গাও না কেন
ফিরে আর পাবে না তারে।

করেছো তুমি এক ভুল ক্ষমাহীন। যতো করো হাহাকার কিছুই হওয়ার নয় আর।

হায়! ‘ যবে ঘাটে ছিল নেয়ে,
তারে দেখি নাই চেয়ে… ‘ ।
‘ যেখানে হল না খেলা
সে খেলাঘরে আজি নিশিদিন
মন কেমন করে ‘ ।
‘ হারানো দিনের ভাষা
স্বপ্নে আজি বাঁধে বাসা ,
আজ শুধু আঁখিজলে
পিছনে চাওয়া ‘ ।
… উপেক্ষা করেছি আমি
দিয়েছি আঘাত…
সেই ভুল জানাতে
এসেছি আজ…

আরও পড়ুন – লজ্জা! বিদেশি মিডিয়াতেও খবরের শিরোনামে যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা, ভাঙচুর

Related articles

বল পায়ে মাঠে নামলেন, নিজামের শহরে সুপারহিট শতদ্রুহীন মেসি শো

একই দেশের দুই শহর। ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। কলকাতায় যেখানে মেসির শো সুপার ফ্লুপ, তখন মেসি( Lionel Messi)...

লজ্জা! বিদেশি মিডিয়াতেও খবরের শিরোনামে যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা, ভাঙচুর

শনিবার যুবভারতীতে মেসির(Messi) অনুষ্ঠানে শুধু জাতীয় নয় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের নজর ছিল। ফুটবলের মক্কায় বিশৃঙ্খলা খবর প্রকাশিত হয়েছে...

মুম্বইয়ে মেসির অপেক্ষায় এবার করিনা

মেসিকাণ্ডে বিক্ষুব্ধ কলকাতার দর্শক। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় আজ স্টেডিয়ামে। এরপরেই কলকাতা ছেড়ে মেসি হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা...

বিধানসভা ভোটের আগে সমন্বয় বৈঠক, কড়া বার্তা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি যে অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে, তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলল শুক্রবার। কলকাতার উইলিয়ামসন মেগর...
Exit mobile version