যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার নিন্দা শনিবারই করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। রবিবার, এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের জল্পনা উস্কে দিলেন তিনি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari) ও ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের (Kalyan Chowbey) অভিযোগের পাল্টা গেরুয়া শিবিরকে ধুয়ে দেন কুণাল। তাঁর দাবি, আয়োজন ধৃত শতদ্রু দত্তকে দিল্লির বিজেপি-ই (BJP) এই বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্যে নিয়োগ করেছিল কি না সেটাও তদন্ত হওয়া দারকার।
এদিন, সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু অধিকারী ও কল্যাণ চৌবে অভিযোগ করেন, আন্তজার্তিক খেলোয়াড়দের আনার জন্য যে প্রোটোকল থাকে তা মেসির অনুষ্ঠানে মানা হয়নি। কল্যাণের অভিযোগ, এর প্রভাব আগামী ৫০ বছর পড়বে। ভারত অলিম্পিক্স বিড করছে। কমনওয়েলথ গেমস হবে। তার উপর এর প্রভাব পড়বে। এটা রাজ্যের বা দলের ক্ষতি নয়, আগামী দিনে ভারত যখন বিড করবে তখন এই ঘটনাটা বাধা হবে। শুভেন্দু অভিযোগ করেন, শতদ্রুকে বলির পাঁঠা করে, প্রভাবশালীদের আড়াল করা হচ্ছে।
এর জবাবে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কুণাল (Kunal Ghosh)। তাঁর অভিযোগ, বাংলাকে সব বিষয় নিয়েই নীচু করতে চায় গেরুয়া শিবির। অনুষ্ঠানের আগের দিন ৪ঘণ্টা উদ্যোক্তা শতদ্রুর (Shatadru Dutta) জন্য বসে ছিলেন ত্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। অথচ তিনি দেখা করেননি। তাহলে কি এই উদ্যোক্তাকে সেইভাবেই দিল্লি থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যাতে মেসিকে কেউ দেখতে না পায়। মাঠের টিকিট কেটে আসে দর্শকরা ক্ষুব্ধ হয়ে গোলমাল করেন, বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়! এই সব বিষয়ও তদন্তের অধীন আনা উচিৎ বলে দাবি জানান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
কল্যাণকে নিশানা করে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, কল্যাণের ফেডারেশন সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত। কোনও দিন ভারতের একাদশে খেলেনি, অথচ আইনের ফাঁক গলে সভাপতি হয়েছেন। তাঁর আমলে ভারতের ফুটবল নীচের দিকে নামছে। আইএসএলটাও করতে পারছেন না, তিনি জ্ঞান দিতে আসছেন!
আরও খবর: ক্রীড়ামন্ত্রীকে টানা ৪ ঘণ্টা স্টেডিয়ামে বসিয়ে রেখেও আসেননি শতদ্রু
মেসিকে ঘিরে যে ভিড় শনিবার মাঠে ছিল, তার মধ্যে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দাও সপরিবারে ছিলেন। ছবি তুলেছেন। তাহলে, বিজেপি তাঁদের কেন জিজ্ঞাসা করছে না-কেন, কীভাবে তাঁরা মাঠে ঢুকলেন- প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তাঁর কথায়, মাঠের মধ্যে গিয়ে যাঁরা সমালোচিত, তার মধ্যে থেকে বিজেপি বিধায়ক বাদ যাবেন কেন! তদন্তে ষড়যন্ত্রের বিষয়টিও যেন বাদ না যায়- দাবি কুণালের।
–
–
–
–
–
