শনিবার যুবভারতীতে মেসির ইভেন্টে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস(Aroop Biswas)। বাম শিবিরের পক্ষ থেকে ২০০৮ সালের মারাদোনার ইভেন্টকে হাতিয়ার করা আক্রমণ শানানো হচ্ছে রাজ্যের বর্তমান সরকারকে। এবার ২০০৮ সালের মারাদোনার ইভেন্টের বিশৃঙ্খলার কথা মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।
বাম শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ২০০৮ সালে সেই সময়ের ক্রীড়া মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সফলভাবে গোটা বিষয়টি আয়োজন করা হয়েছিল। রবিবার প্রথমে ফেসবুকে পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বাম শিবিরকে ধুয়ে দিলেন কুণাল(Kunal Ghosh)।
ফেসবুকে কুণাল লেখেন, “কমরেড, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেবার যে অত্যাচারটা মারাদোনার উপর হয়েছিল, মাঠে লোক এবং মারাদোনাকেই খোঁচাখুঁচি, ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী জনতার আব্দার মেটাতে যে অত্যাচার করেছিলেন; তার পরিণতিতে তারপর মোহনবাগান মাঠের অনুষ্ঠানে সুভাষবাবুকে নিয়েই বেঁকে বসেছিলেন মারাদোনা। গাড়ি থেকে নামতে চাননি। ঐতিহাসিক মন্তব্য ছিল,’ ওই টুপি পরা লোকটা এখানে থাকলে আমি মাঠে যাব না।’ অনেক বুঝিয়ে নামাতে হয়েছিল। তবে মাঠে বলে শট। তারপর সাদা টুপির ভয়ে মঞ্চ এড়িয়ে সটান গাড়িতে। সামনে দাঁড়িয়ে দেখেছি।“

এখানেই থেমে না থেকে আরও উল্লেখ করেন, “আজ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আক্রমণের আগে এগুলো মনে রাখবেন। মারাদোনার পাশে সেবার সুভাষবাবু ছিলেন, মহেশতলায় সিপিএমের তখনকার সাংসদ শমীক লাহিড়ীও ছিলেন, এখন গণশক্তির সম্পাদক। এবারের ঘটনা লজ্জাজনক। অনেক কারণ আছে। আমরাও নিন্দা করছি। মুখ্যমন্ত্রী তদন্ত করাচ্ছেন। কিন্তু সিপিএমের কিছু বলার অধিকার নেই।“

এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল বলেন, “২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীত্বেই মেসি তিন দিন ছিলেন কলকাতায়, অনুশীলন করেছেন, ম্যাচ খেলেছেন। এবার কোনও ফিফা ম্যাচ ছিল না। তিনি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এসেছিলেন।“

সিপিএমকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, “২০০৮ সালে আমি সংবাদিক হিসেবে দেখেছি বিশৃঙ্খলার ছবি, তখন ফেসবুক ছিল না তাই এত বেশি প্রচার হয়নি।“

সব মিলিয়ে মেসি কলকাতায় ছিলেন কয়েক ঘণ্টা, কিন্ত এমন বেনজির ঘটনা ঘটবে তা ছিল কল্পনার অতীত।

–

–

–

–
–


