যুবভারতীতে মেসিকে নিয়ে যে দুর্ভাগ্যজনক বিশৃঙ্খলা, তার জন্য বিরোধীরা-সহ কিছু মহল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) টার্গেট করে কুৎসিত আক্রমণ করছেন। অথচ এই আক্রমণ তাঁর প্রাপ্য নয়। কারণ, যে ঘটনা ঘটেছে, তার কোনো দায় মুখ্যমন্ত্রীর ছিল না। তিনি আমন্ত্রিত। তিনি যাচ্ছিলেন। তিনি যাওয়ার পথেই অঘটনের কথা শোনেন। মেসি (Lionel Messi) বেরিয়ে গেছেন। তাই তিনি মাঝপথে ফিরে যান। গোটা ঘটনা শুনে তিনি প্রবল বিচলিত ও ক্রুদ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে যাকে যা বলার বলেন। দর্শকদের টাকা ফেরতের নির্দেশ দেন। প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়ের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি করে দেন। পুলিশ বেসরকারি আয়োজককে গ্রেফতার করে।
- যুবভারতীতে যা হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার আগে।
- অনুষ্ঠান সরকারি ছিল না। বেসরকারি সংস্থা করেছে। তারা যা সহযোগিতা চেয়েছিল, সরকার দিয়েছে। ক্রীড়াদফতর, যুবভারতী কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ যেটুকু নজর রাখার রেখেছিল। এর মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে মুখ্যমন্ত্রী কী করবেন? তিনি যাওয়ার আগে আয়োজকদের ব্যর্থতায় মানুষ ক্ষিপ্ত।
কিছু অবাঞ্ছিত হ্যাংলার ছবি ওঠানোর ভিড়ে মেসিকে দেখতে না পেয়ে গোলমাল তুঙ্গে। সুযোগ নিয়েছে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তোলা কয়েকজন। লজ্জাজনক পরিস্থিতি হয়েছে।
কিন্তু অন্যের ভুলের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) কুৎসার মুখে ফেলা হচ্ছে কেন? তিনি কী করেছেন? তাঁর দিক থেকে মেসিকে কলকাতায় আনার আবেদনে যা অনুমতি বা সহযোগিতা, তা তো করা হয়েছে। কিছু লোক আচমকা হ্যাংলামি করবে আর অনেক বড়কর্তা উপস্থিত থাকলেও তাঁরা সামলাতে পারবেন না, এটা মুখ্যমন্ত্রী ভাববেন কী করে? অতীতে অনেক বড় কর্মসূচি হয়েছে। এই মেসিই খেলে গিয়েছেন মসৃণভাবে। ফলে এখন একটা সুযোগ পেয়ে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন, তাঁরা ঠিক করছেন না।
বস্তুত, বিজেপি (BJP), কংগ্রেস (Congress), সিপিএম (CPIM) থেকেই এই ধরণের কুৎসা হচ্ছে। অথচ তাদের জমানার অঘটনের তালিকা দিলে তারা কথা বলার ভাষা খুঁজে পায় না। অন্য ইস্যু না পেয়ে তারা এই বিভ্রাট নিয়ে অকারণে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে নেমেছে। এই ঘটনায় তদন্ত বা অন্য যা যা করার, মুখ্যমন্ত্রী করছেন।
–
–
–
–
–
–
