পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মতুয়াকে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে মোদি সরকার ও বিজেপি—এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার রাজ্যসভায় সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর এই ইস্যুতে মোদি সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। তাঁর অভিযোগ, মতুয়া সমাজকে ভুল পথে চালিত করে তাঁদের ভিটেমাটি কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশন। যৌথ ভাবে এই চক্রান্ত চালিয়ে মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে মমতাবালা ঠাকুর বলেন, মতুয়াদের ভোট যদি অবৈধ হয়, তা হলে দেশের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনও বৈধ হতে পারে না। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগ করা উচিত বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, এ ভাবে প্রধানমন্ত্রী মতুয়া সমাজের উপর আঘাত হানতে পারেন না।

তৃণমূল সাংসদের আরও দাবি, ২০০২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত একাধিক নির্বাচনে অংশ নিয়ে যে অগণিত হিন্দু মতুয়া সরকার গঠনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের নাম কেন ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। এর পরেই তিনি অভিযোগ করেন, মতুয়াদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে মোদি সরকারের প্রতিটি মন্ত্রী ভুয়ো নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট বিতরণ করছেন।

মমতাবালা ঠাকুরের এই বক্তব্যের পরেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদরা একযোগে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে আসেন। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর মতুয়া সমাজের প্রতিনিধিদের প্রভাবিত করতে ভুয়ো নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট বিতরণ করছেন। সেই অভিযোগ সভায় তুলে ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আচরণের তীব্র নিন্দা জানায় তৃণমূল ব্রিগেড। রাজ্যসভায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল সাংসদদের দাবি, মতুয়া সমাজকে নিয়ে যে মিথ্যাচার ও প্রতারণা চলছে, তার উপযুক্ত জবাব আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ দেবেন।

আরও পড়ুন- রেকর্ড ভিড়ের আশঙ্কায় গঙ্গাসাগরে রিস্ট ব্যান্ড! ভিআইপি সংস্কৃতিতে না মুখ্যমন্ত্রীর

_

_

_

_

_
_


