রাজ্যে শিল্প ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজনেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’। ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এই কনক্লেভের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের শিল্প সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কনক্লেভের প্রাথমিক পর্বে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের শিল্প মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থান, বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং সাম্প্রতিক অগ্রগতির চিত্র উপস্থিত অতিথিদের সামনে তুলে ধরবেন। শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কীভাবে সহায়তা করেছে, সেই অভিজ্ঞতার কথাও শোনাবেন রাজ্যের বিশিষ্ট শিল্পপতিরা। এই পর্বে হর্ষ নেওটিয়া, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জয় বুধিয়া এবং উমেশ চৌধুরির মতো শিল্পপতিরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবেন বলে জানা গিয়েছে।

কনক্লেভের দ্বিতীয় পর্বে বিশ্বব্যাঙ্কের সহযোগিতায় রাজ্যে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরা হবে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতা ও শহরতলির জলপথ পরিবহণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, সুন্দরবনের নদী ও খাল সংস্কার, দ্বীপ এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং দামোদর অববাহিকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচ পরিষেবা উন্নয়ন।

নবান্ন সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ীই এবারের বিজনেস কনক্লেভে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আটটি শিল্পক্ষেত্রে। পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তি, ইস্পাত এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষেত্রগুলিকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে। পাশাপাশি চর্মশিল্প, চিকিৎসা পরিষেবা ও ওষুধ সংক্রান্ত শিল্পগুলিকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এই আটটি শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত দফতরগুলিকে পৃথক পৃথক প্রেজেন্টেশন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কনক্লেভে উপস্থিত অতিথিদের সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হবে, কেন এই শিল্পক্ষেত্রগুলিকে রাজ্যের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে এবং কীভাবে এই ক্ষেত্রগুলির মাধ্যমে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলে দেওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন- ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু ৪৯তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, ভার্চুয়ালেও মিলবে মেলার স্বাদ

_

_

_

_

_
_

