সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
পরিকল্পনা শুরু বছর ছয়েক আগেই, মাঝে বহু বিতর্ক – সমালোচনা, অবশেষে মুক্তি পেল বহু প্রতীক্ষিত সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherjee) “লহ গৌরঙ্গের নাম রে” ছবির ট্রেলার। ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই আরও একবার উস্কে দিল মহাপ্রভুর অন্তর্ধান রহস্যের মিথকে। বৃহস্পতিবার ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক স্বয়ং। এছাড়া ছিলেন পর্দার বিনোদিনী অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, পর্দার গৌরাঙ্গ ওরফে দিব্যজ্যোতি দত্ত, ঈশা, আরাত্রিকা, দেবদূত অন্যদিকে গায়ক কবির সুমন, বাসবদত্তা, পদ্ম পলাশ সহ একঝাঁক তারকা।

পদ্ম পলাশ-বাসবদত্তা’র যুগলবন্দীতে গৌরাঙ্গের নাম জপে শুরু হয় এদিনের অনুষ্ঠান। পরে অবশ্য সঙ্গত দেন কবির সুমনও।
“ইমেজটা আমি ক্লিয়ার চাই না বুঝলে। এটা তো লোককথা, তারপর একটু ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে, একটু মিথ রয়েছে। চৈতন্যর মতো একটা চরিত্র…”-ট্রেলারের শুরুতেই ঈশার কণ্ঠ আর ঘষাকাঁচের ফ্রেমে সারি সারি নৌকা দাঁড়িয়ে তার একটিতে দাঁড়িয়ে নিজ খেয়ালে বাঁশি বাজিয়ে চলেছেন গৌরাঙ্গ। তারপরই নটী বিনোদিনী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্ঠস্বর-“কিন্তু আপনার কেন এমন মনে হচ্ছে মাস্টারমশাই এ যাবত কাল আমরা যে গপ্প শুনে এসেছি তা সত্য নয়!” আর এখান থেকেই শুরু গল্পের ঘনিভবন। নিমাই সন্ন্যাসীর জীবনের নানা প্রতিচ্ছবি, কখনো বিনোদিনীর শ্রী চৈতন্যলীলার দৃশ্য, কখনও গিরিশ ঘোষের চরিত্রে ব্রাত্য বসু, আবার নিত্যানন্দ গোসাই চরিত্রে যিশু সেনগুপ্ত। ট্রেলার যতই এগোতে থাকে ততই ছবির রঙ আরও গাঢ় হয়, মিশতে থাকে বিষাদের সুর আর অন্তর্ধান রহস্যের জটিলতা। উনবিংশ শতক থেকে বিংশ শতকের বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছরের ব্যবধানে ৩টি প্রেক্ষাপটের ৩টি গল্পকে এক সুতোয় গেঁথেছেন পরিচালক।


“মিলছে না। জোয়ারে ভেসে যদি যেত সে তবে চন্দ্রভাগার তটে সে ফিরতই।”- নিত্যানন্দ গোসাই এর চরিত্রে যিশু সেনগুপ্তর এই ডায়লগে ট্রেলারের শেষে এল দারুণ চমক, তবে এই চমকের অন্তরালে কি মিলবে চৈতন্য অন্তর্ধান রহস্যের উত্তর? তারই উত্তর নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর বড় পর্দায় আসতে চলেছে ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে। আরও পড়ুন: অস্কার নমিনেশনে শর্টলিস্টেড ‘হোমবাউন্ড’! উচ্ছ্বসিত করণ শুভেচ্ছা জানালেন টিমকে

–

–

–

–

–

–

–
–

