মৌলবাদী ও জেহাদিদের বিক্ষোভে ফের উত্তাল বাংলাদেশ। ছাত্রনেতা হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই অশান্তি চরমে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া হিংসা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। বাংলাদেশের (Bangladesh) হামলাকারীদের জিহাদিদের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
বাংলাদেশের জ্বলন্ত ভিডিও পোস্ট (Video Post) করে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষুব্ধ তসলিমা লিখেছেন, “এক জিহাদির মৃত্যুতে লক্ষ জিহাদি সারা বাংলাদেশ জুড়ে তাণ্ডব করেছে। যা কিছু পেয়েছে ভেঙে টুকরো করেছে। সবকিছু জ্বলিয়ে পুড়িয়ে ছাই করেছে।
ভালুকার দরিদ্র যুবক দীপুচন্দ্র দাসকে পিটিয়ে মেরে গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়েছে জিহাদিরা। না, কারও দুঃখ হয়নি, কারও হাত কাঁপেনি, কারও মন কাঁদেনি, কারো বিবেক জাগেনি। নারায়ে তকবীর আল্লাহু আকবর বলে উল্লাসে চিৎকার করছে তারা।
জিহাদিস্তানের প্রকৃত চেহারা তো এমনই হয়।”

ছায়ানট ভাঙচুরের একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করে তসলিমা (Taslima Nasrin) লেখেন, “কাঁদো বাংলাদেশ কাঁদো”। হাদির হত্যার পর বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম-সহ দেশের একাধিক স্থানে হিংসার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকার দুটি মিডিয়া হাউসের অফিসে অগ্নিসংযোগ চালায় এবং চট্টগ্রামে ভারতের কনস্যুলেটেও হামলার খবর মেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার দায়িত্ব নেয়।

গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টন এলাকার কালভার্ট রোডে টোটোয় চড়ে যাওয়ার সময়ে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে গুলি চালায় ওসমান হাদির মাথায়। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যতদিন দিন যায় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। এরপর গতকাল রাতে মারা যান হাদি।

সাম্প্রতিক অতীতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একাধিক সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগের কোন সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

–

–

–

–



