অন্যান্য ধর্মীয় স্থানের মতো নিয়মের বেড়াজাল রয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও। কিন্তু ফাঁক গলে ক্যামেরা ঢুকে জগন্নাথ ধামের গর্ভগৃহে। আর সেই ছবিই এখন ভাইরাল স্যোশাল মিডিয়ায়। তবে, সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’। ফের প্রশ্নের মুখে জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জগন্নাথ ধাম শুধুমাত্র একটি ধর্মস্থান নয়, কোটি কোটি মানুষের আবেগ ও বিশ্বাসের জায়গা। কিন্তু সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মন্দিরের একটি ভাইরাল ছবি ঘিরে তোলপাড় ওড়িশা থেকে বাংলা।
এক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি ‘Ashirbad945’ নামক একটি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, সেটি মন্দিরের একেবারে গর্ভগৃহে অর্থাৎ ‘রত্ন সিংহাসন’-এর খুব কাছ থেকে তোলা হয়েছে। অথচ মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী, ভেতরে মোবাইল বা ক্যামেরা নিয়ে ঢোকা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এত কড়াকড়ি সত্ত্বেও কীভাবে গর্ভগৃহের মতো সুরক্ষিত স্থানে ক্যামেরা বা মোবাইল পৌঁছাল, তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এক শ্রেণীর কর্মী বা প্রভাবশালীদের মদত ছাড়া এই ধরণের সুরক্ষা লঙ্ঘন সম্ভব নয়।

এটি প্রথম ঘটনা নয়। গত কয়েক মাসে জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠছে। নভেম্বর মাসে জাজপুরের এক ভক্ত সেবকের ছদ্মবেশে গর্ভগৃহে ঢুকে রত্ন সিংহাসন ছুঁয়ে ফেলেন। আবার ওই একই দিনে আহমেদাবাদের এক ভক্তের চশমায় লুকানো ছিল ক্যামেরা! তিনি যখন জগমোহন কক্ষের ছবি তুলছিলেন, তখন ধরা পড়েন। এছাড়া অক্টোবর মাসে খোদ একজন সেবকের বিরুদ্ধে মন্দিরের ভিতরে ফোন ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। আরও পড়ুন:পদ্মাপাড়ে হিংসার আগুনে ঝলসে মৃত বিএনপি নেতার ৭ বছরের কন্যা, দীপু-খুনে ধৃত ৭

বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, মন্দিরের ভিতরে ছবি তুললে ২ মাসের জেল ও ১,০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে। ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন মনে করছেন, এই লঘু শাস্তির কারণেই অনেকে নিয়ম ভাঙার সাহস পাচ্ছে। তাঁর মতে, জগন্নাথ মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষায় আইন আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন যে অপরাধটিকে জামিন অযোগ্য করতে হবে এবং শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড করা হবে।

বিষয়টি মন্দির কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে। এবিষয়ে কোনো এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে জানা যায়নি। তবে যেখানে কড়া পাহারা থাকে, সেখানে বারবার একই ঘটনা কি করে ঘটতে পারে , তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সাধারণ ভক্তদের মধ্যে।

–

–

–

–

–


