বড়দিনের উৎসবকে কেন্দ্র করে এবারও বাড়তি নজরদারি পার্কস্ট্রিট (Park Street) এলাকায়। অন্যবারের তুলনায় যদিও এবার নিরাপত্তা আরও অনেকটাই আঁটোসাঁটো হবে সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই। দিল্লিকাণ্ডের পর থেকে শহরজুড়েই বেড়েছে নাকা চেকিং। এবার বড়দিন উপলক্ষেও গোটা শহর জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ২ হাজার পুলিশ কর্মী। পার্কস্ট্রিটে ৮ থেকে ১০ জন ডেপুটি কমিশনার পদ মর্যাদার অফিসার থাকবেন নিরাপত্তার দায়িত্বে। প্রায় ২০-২৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার থাকছেন। এছাড়াও থাকবেন ২৭ জন ইন্সপেক্টর এবং ২৫০ জন সাব ইন্সপেক্টর।
এবারের বড়দিন এবং বর্ষবরণের উৎসবে শহর জুড়ে ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে যার মধ্যে পার্কস্ট্রিটেই থাকবে ৫টি। এই এলাকায় থাকছে QRT নজরদারি। শহর জুড়ে প্রায় ৪০টি পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ ও হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড থাকছে। মহিলাদের নিরাপত্তায় থাকছে কলকাতা পুলিশের উইনার্স টিম। প্রায় ৫০টি সিসিটিভি নজরদারি থাকবে পার্কস্ট্রিট এলাকাতে। ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি চলবে। এছাড়া হেড কোয়ার্টারের তরফে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালানো হবে। বাংলাদেশকাণ্ডের জের যেন কলকাতা শহরকে কোনভাবেই প্রভাবিত না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতেই এই মুহূর্তে তৎপর গোটা ফোর্স।

কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন শহরজুড়ে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে এবং পেট্রলিং বাড়ানো হয়েছে। ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন সামনে, তাই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের সংবেদনশীল এলাকায় বাড়তি নজরদারি চলবে। উৎসবের মরশুমে যেকোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের সমস্ত হোটেল, রেস্তোরাঁ, গেস্ট হাউসে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর পার্কস্ট্রিট সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বর্ষবরণের সময়ে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান চলবে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলার যাতে কোনও রকম অবনতি না ঘটে সেদিকে কড়া নজর কলকাতা পুলিশের। আরও পড়ুন: হাদি হত্যার মূল্য ১২৫ কোটি! বিস্ফোরক অভিযোগ তসলিমার

–

–

–

–

–

–

–


