পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ভরা পর্যটন মরশুমে বড় সিদ্ধান্ত নিল বনদফতর। জঙ্গল সাফারির সাপ্তাহিক রুটিনে সাময়িক পরিবর্তন এনে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষে জঙ্গল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার বনদফতরের তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৫ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি—দু’দিনই উত্তরবঙ্গের একাধিক জঙ্গলে সাফারি চালু থাকবে।

সাধারণত উত্তরবঙ্গের জঙ্গলগুলিতে সপ্তাহে ছ’দিন সাফারি চালু থাকে এবং বৃহস্পতিবার সাফারি বন্ধ থাকে। কিন্তু এ বছর ২৫ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পড়ায়, এই দুই দিনে পর্যটকদের ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছে বনদফতর। সেই কারণেই পর্যটক, পর্যটন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বার্থে এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দিন ও নববর্ষে গরুমারা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের প্রবেশদ্বার খোলা থাকবে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে চিলাপাতা, মাদারিহাট, শালকুমার ও কোদালবস্তি—এই চারটি রুট থেকেই অন্য দিনের মতোই জিপসি ও হাতি সাফারি চালু থাকবে।
অন্যদিকে, বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ বড়দিনে জঙ্গল খোলা রাখার কথা জানালেও, ১ জানুয়ারি সাফারি চালু রাখা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এই প্রসঙ্গে বক্সা টাইগার রিজার্ভের ডিএফও (পূর্ব) দেবাশিস শর্মা জানান, “বছরের শেষ সময়ে পর্যটকদের ভিড় থাকে। তাই বৃহস্পতিবার হলেও সাফারি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১ জানুয়ারি নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”

বনদফতরের এই সিদ্ধান্তে খুশি পর্যটক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। চিলাপাতা ইকো ট্যুরিজম সোসাইটির কার্যনির্বাহী সভাপতি বিমল রাভা বলেন, “ডুয়ার্সের পর্যটন অনেকটাই জঙ্গল সাফারির উপর নির্ভরশীল। ২৫ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি সাফারি বন্ধ থাকলে বড় ক্ষতি হত। বনদফতর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা নিশ্চিন্ত।”

আরও পড়ুন – গান্ধীর নাম বাদের প্রতিবাদে কংগ্রেসের মিছিল ঘিরে অশান্তি

_

_

_

_
_


