ক্রিসমাসের আনন্দে (Christmas Celebration) মেতে উঠেছে বাংলা। জেলা থেকে রাজ্য সর্বত্র একই ছবি। শীতকালীন উৎসবের মরশুমে কলকাতার বিনোদন পার্কের আকর্ষণ যেন সবসময় জন্যই সেরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বড়দিনের আনন্দে মাতোয়ারা আট থেকে আশি সকলেই। বাঙালির চিরকালীন পছন্দের আলিপুর চিড়িয়াখানায় ( Alipur zoological garden) সকাল সকাল ডোরাকাটার রাজকীয় স্টাইলের দর্শন হতেই খুশি কচিকাচারা। বাঘ বাবাজিও নিরাশ করেনি পর্যটকদের। বেলা গড়াতেই সব বয়সীদের ভিড় নিউটাউনের ইকোপার্কে(Eco Park)।

পার্ক স্ট্রিটকে টক্কর দিঘার! বড়দিনে আলো আর লেজার শো-তে জমজমাট সৈকত শহর

বড়দিনের বড় আনন্দ মানেই পার্ক স্ট্রিটে হাঁটাহাঁটি আর কেক-ক্যারলে যিশুপুজো।২৫ ডিসেম্বর সকালে ক্যাথিড্রাল চার্চে স্যান্টা টুপি পরে তরুণ তরুণীদের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে। যাঁরা রাতের পার্ক স্ট্রিট মিস করে গেছেন তাঁরা দুপুরেই এক চক্কর ঘুরে দেখে নিয়েছেন অ্যালেন পার্ক। নিক্কো পার্ক থেকে শুরু করে ওয়াক্স মিউজিয়াম (MWM) বা চিরাচরিত ভারতীয় জাদুঘরেও (Indian museum) টিকিট কাটার লম্বা লাইন। কেউ ব্যস্ত সেলফিতে, কেউ আবার বাড়ি থেকেই লুচি তরকারি রান্না করে নিয়ে সপরিবারে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে ফেলেছেন নন্দন, ভিক্টোরিয়া কিংবা চিড়িয়াখানা চত্বরে। অন্যদিকে আবার জেলায় জেলায় ক্রিসমাস কার্নিভালের মেজাজে আনন্দের পরিবেশ। সৈকত নগরীতে রেকর্ড ভিড়। দিঘায় (Digha) আগত পর্যটকদের যাতে কোনও রকমের সমস্যায় না পড়তে হয় তার দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসন। শিলিগুড়িতে কেক পেস্ট্রিতে জমজমাট ক্রিসমাস কার্নিভাল (Christmas carnival)। বড়দিনের সকালে শ্রীরামপুর থেকে ব্যান্ডেল চন্দননগর থেকে মালদহ সব চার্চেই প্রার্থনা সংগীতের আয়োজন করা হয়। দিনভর ভক্ত দর্শনার্থী সমাগমে মুখরিত দক্ষিণেশ্বর- বেলুড় মঠ। সবমিলিয়ে বছরের প্রায় শেষলগ্নে ক্রিসমাসের আনন্দ চেটেপুটে উপভোগ করতে ব্যস্ত বঙ্গবাসী।
–

–

–

–

–

–

–
–


