সাম্প্রদায়িক হিংসা ও মৌলবাদী হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশে (Bangladesh) প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি জানাল ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ’। শুক্রবার, কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু যুবক দীপু দাস ও শিশু আয়েষা আক্তারের পুড়িয়ে মারার মত ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও প্রগতিশীল মুক্তমনা মানুষের উপর হামলার মত ঘটনা গণতন্ত্রের জন্য হুমকির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছায়ানট, উদীচীর মত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা, প্রথম আলোর মতো সংবাদপত্রের অফিসে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর মত ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা পূর্ণেন্দু বসু, সাংবাদিক-লেখক রন্তিদেব সেনগুপ্ত, সাংবাদিক-রাজৈতি বিশ্লেষক সুমন ভট্টাচার্য, পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাজমুল হক, বর্ণালী মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস বক্সি-সহ অন্যান্যরা। গণমঞ্চের অভিযোগ, বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মুছে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-আরএসএস সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে।

দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের মতে, দুই দেশের মৌলবাদী শক্তির চরিত্রে মৌলিক কোনও পার্থক্য নেই। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, “আমরা সমস্ত ধরণের মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। সেই কারণে এই ধরনের হামলার বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াতে চাই।” সমমনস্ক মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যাঁরা প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ, যাঁরা প্রকৃত গণতন্ত্র চান- তাঁরা এগিয়ে আসুন। আমাদের রাজ্যে আমরা প্রতিবাদে পিছিয়ে আছি, দ্রুত তা শুরু করা উচিত।” আরও পড়ুন: SIR আতঙ্ক তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন! শোল-এর ডায়লগ তুলে তুলোধনা তৃণমূলের
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একসময় আমি আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাই আমি আপনাদের সাবধান করে দিতে চাই সারা পৃথিবীতে যে মিথ্যের প্রচার চলছে, গণতন্ত্র ধ্বসের কাজ করছে মিথ্যা প্রচারতন্ত্রের সাহায্যে। হিটলার একসময় বলেছিলেন, একটা মিথ্যা কথা যদি হাজারবার বলা হয় তাহলে সেটাই সত্যিতে পরিণত হয়।” শেষে বাংলার সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে সাম্প্রদায়িক চক্রান্তের বিরুদ্ধে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। সুমন ভট্টাচার্য বলেছেন, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন থামাতে, গণতন্ত্র রক্ষা করতে ভারত সরকার ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের এগিয়ে আশা উচিত।”

–

–

–

–

–

–


