মেয়ের মৃত্যুর ৭ মাস পরে অবসাদে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তামান্না খাতুনের (Tamanna Khatun) মা সাবিনা। কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের (Kaliganj by election) দিন দুপুরে বোমাবাজিতে প্রাণ হারায় মোলান্দি গ্রামের ৯ বছরের নাবালিকা। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে কঠোর পদক্ষেপ করেছে পুলিশ প্রশাসন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বোমাবাজির ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা হয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় কালীগঞ্জের নিহত নাবালিকা তামান্না খাতুনের পরিবার। সিবিআই তদন্তের দাবি করেন তারা। তারপর থেকে কেটে গেছে প্রায় সাত মাস, প্রতি মুহূর্তে মেয়ের স্মৃতিতে কাতর হয়েছেন মা। অবশেষে অবসাদের জেরে নিজেকে শেষ করে দিতে চাইলেন সাবিনা। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি।

সাবিনার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তামান্নার মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তাঁর মা। ক্রমাগত অবসাদে জর্জরিত হচ্ছিলেন তিনি। মানসিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। অবশেষে চরম সিদ্ধান্তের পথে হাঁটার চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে যাওয়ায় বরাত জোরে প্রাণে বাঁচানো গেছে তামান্নার মাকে।বর্তমানে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে (Krishnanagar Shaktinagar district hospital) তিনি চিকিৎসাধীন। এই ঘটনা নিয়ে কালীগঞ্জের নবনির্বাচিত বিধায়ক আলিফা আহমেদ জানান, অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। সন্তানহারা মায়ের বেদনা অন্যরা বুঝতে পারে না। তবে তামান্নার সঙ্গে যা হয়েছে সেই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ করেছে।

–
–

–

–

–

–

–

–


